থাইল্যান্ড থেকে দেশে আনা হয়েছে জুলাই গণ অভ্যুত্থানের যোদ্ধা হাসানের লাশ। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানযোগে তার লাশ ঢাকায় আনা হলে বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে তা গ্রহণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী ও মরহুমের পরিবারের সদস্যসহ লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাতেই শহীদ মিনারে জানাজা শেষে মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচরে দাফন করার কথা রয়েছে। তার লাশ দাফনের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গণ অভ্যুত্থানের যোদ্ধা হাসানের মৃত্যুতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা শোক প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ অভ্যুত্থানে গুরুতর আহত এবং পরবর্তীতে শহীদ মো. হাসানের আত্মত্যাগ জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে অনন্তকাল স্মরণ করবে। তিনি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের টাইগারপাসে জুলাই গণ অভ্যুত্থানে গুরুতর আহত হাসানকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতাল পাঠানো হয়। শেষে তাকে সেদেশের পায়াথাই পাহোলিওথিন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে মো. হাসান মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ২৫ বছর।