চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর নয়াবাজার আনন্দিপুর এলাকায় নালায় পড়ে তিন বছর বয়সি শিশু হুমায়রার মৃত্যু নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে চারটি কারণ চিহ্নিত হয়েছে। এ সবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও পরিবারের অবহেলা-দায়িত্বহীনতা, অতিবৃষ্টিতে সড়ক-নালা একাকার হয়ে যাওয়া, অপেক্ষাকৃত ছোট নালা এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন নালায় স্ল্যাব না থাকার বিষয়গুলোকে মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ বলে উল্লেখ করা হয়। তবে ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কোনো দায় নেই বলে বলা হয়েছে। বুধবার বিকালে হালিশহর নয়াবাজার আনন্দিপুর এলাকার নালায় পড়ে মারা যায় হুমায়রা। এ ঘটনায় চসিক তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় তদন্ত প্রতিবেদন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের কাছে জমা দেয়। চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমদ চৌধুরীকে আহবায়ক, নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহানকে সদস্যসচিব এবং ম্যালেরিয়া ও মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. সরফুল ইসলামকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। চার পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার চারটি কারণ, ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সাতটি সুপারিশ এবং চারটি পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, নগরের নালা-নর্দমা-ড্রেন সংস্কার-উন্নয়ন ও তদারক করে চসিক। এ ঘটনায় চসিক নিজস্ব কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে বাইরের প্রতিনিধি রাখা হয়নি। তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান বলেন, সরেজমিন গিয়ে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে, এলাবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এমন দুর্ঘটনা এড়াতে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।