চট্টগ্রামের বাজারে শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের মাছ ও মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গতকাল চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় সংকট তৈরি হওয়ায় পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিভিন্ন কাঁচাপণ্যে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি, হেমসেন লেন ও কর্ণফুলী কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সবজির সরবরাহ কম ছিল। এ ছাড়া দেশীয় মাছ এবং ডিমের সরবরাহও কিছুটা কমে যায়। এ কারণে এসব পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তি। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি দাম পবিত্র আশুরাকে কেন্দ্র করে বেড়েছিল, যা এখনো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত ছিল।
চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি বাজারের সবজি দোকানি মোহাম্মদ মুনির বলেন, ‘আমরা পাইকারি পর্যায় থেকে সংগ্রহ করে সীমিত লাভে বিক্রি করি। সেখানে দাম বাড়লে আমরা বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই। বৃষ্টির কারণে অন্য জেলা থেকে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। তাই বাজারে ঘাটতি আছে। এ কারণেও দাম কিছুটা বাড়তি। তবে বৃষ্টি কমলে আবার আগের দামে চলে আসবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোক্তা পর্যায়ে গত সপ্তাহে ৬০-৭০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছিল পটোল, করলা, বরবটি, বাঁধাকপিসহ কয়েকটি সবজি। তবে গতকালের বাজারে এসব সবজির দাম ৮০ টাকার ওপরে। প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে শিম, গাজর, বেগুনসহ কয়েকটি সবজি।
লাউ, পেঁপেসহ কয়েকটি সবজির দাম ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও এসব সবজি গত সপ্তাহের শুরুতে ৩০ টাকার ভিতরে ছিল। এ ছাড়া পুঁই, কচু, লাল শাক আঁটির আকারভেদে ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৭০-৭৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে শালগম, মুখীকচুসহ কিছু সবজি। তবে আলু, মুলা, ঢেঁড়শসহ কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত আছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে দেশীয় মাছের বৃহৎ জোগানদাতা মিরসরাইয়ে মুহুরি প্রজেক্ট এলাকার মাছ চাষি আনোয়ার হোসেন জানান, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে মাছ চাষের প্রকল্পগুলোর পাড়ের ওপরেও পানি বইয়ে গেছে। চাষিরা এ কয়েক দিন প্রকল্পের সুরক্ষায় ব্যস্ত ছিলেন, যাতে পানির সঙ্গে মাছ ভেসে না যায়। মাছ ধরায় কেউ সময় দিতে পারেননি। এ কারণে প্রকল্পে চাষ হওয়া মাছের সরবরাহ একটু কম।