আফগান সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ডেরা ইসমাইল খান এলাকায় পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত সাতজন পুলিশ সদস্য নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধে পাঁচ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে গতকাল বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তান কাউন্টার-টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি)।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শরকট থানা এলাকার রত্তা কালাচি অঞ্চলে অবস্থিত পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ হামলা চালানো হয়। প্রথমে বিস্ফোরকবোঝাই একটি ট্রাক প্রশিক্ষণ স্কুলের প্রধান ফটকে আঘাত হানে, এতে দেয়াল ধসে পড়ে। এরপর সন্ত্রাসীরা ভারী অস্ত্র ও হাতবোমা নিয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করে পুলিশের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। -এএফপি
জানা গেছে, ফিতনা আল-খাওয়ারিজ নামে পরিচিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সদস্যরা এ হামলা চালিয়েছে। প্রাথমিক হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে বন্দুকযুদ্ধ চলে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে পাঁচজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে আত্মঘাতী জ্যাকেট, বিস্ফোরক ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। ডেরা ইসমাইল খানের সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ হামিদ সিদ্দিকী জানিয়েছেন, হামলার সময় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশে অবস্থিত ন্যাশনাল ডেটাবেজ অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটি (নাদরা) অফিসে সন্ত্রাসীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। এর আগে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ওরাকজাই জেলায় এক গোয়েন্দা অভিযানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১১ জন সদস্য নিহত হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও একজন মেজর ছিলেন। ওই ঘটনায় পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কার্যক্রম চালানো নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ১৯ সদস্য নিহত হয়।