প্রবল বর্ষণ ও ধসে ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। ভিটে ছাড়া কয়েক হাজার মানুষ। এমন অবস্থায় গতকাল পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের ত্রাণশিবির পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেখানে দুর্গত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের সামনে এ বন্যাকে ম্যান-মেড (মানবসৃষ্ট) আখ্যায়িত করে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘এটা ম্যান মেড, একটা পরিকল্পিত বন্যা এবং পানি ছাড়ার কারণে এতগুলো মানুষের মৃত্যু হয়েছে।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘আমরা কতগুলো রাজ্যের পানি সামলাব? ভুটানের সংকোশ নদী এবং সিকিমের পানি এসে পুরো বন্যা করে দিয়েছে। বিহারে বৃষ্টি হলে ফারাক্কা দিয়ে পানি ঢুকছে, উত্তর প্রদেশে বৃষ্টি হলে ফারাক্কা দিয়ে রাজ্যে পানি ঢুকছে। গঙ্গা টুবুটুবু হয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমাদের এখানে বৃষ্টি হলে পানিটা কোথায় যাবে? তার ওপরে ডিভিসি ইচ্ছামতো পানি ছাড়ছে। কিন্তু তারা কেন ড্রেজিং করছে না? আজকে ২০ বছর ধরে বলতে বলতে আমার মুখ ব্যথা হয়ে গেছে। মাইথন, ডিভিসি, পাঞ্চেত বাঁধে পানি ধরে রাখার সক্ষমতা নেই, তাহলে বাঁধ রাখার প্রয়োজনটা কী? না রাখলেই তো ভালো হতো। তাহলে পানি তার স্বাভাবিক পথে আসত এবং স্বাভাবিক পথেই বেরিয়ে যেত।’
নাগরাকাটায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারপিছু ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লাখ রুপি দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিশেষ মানবিক উদ্যোগ হিসেবে প্রত্যেক পরিবারে একজন সদস্যকে একটি বিশেষ হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।