জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘ইসরায়েল গাজায় যে পরিমাণ মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে, তা ‘এক চা চামচের সমান যা খুবই সামান্য।’ তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণ পৌঁছাতে বিলম্ব করছে।’
শুক্রবার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গুতেরেস বলেন, গাজার পুরো জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে ৪০০ লরি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও, মাত্র ১১৫টি লরি থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করা গেছে।
তিনি আরও জানান, জাতিসংঘ কিছু গমের আটা, শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবার ও ওষুধ বিতরণ করতে পেরেছে। দক্ষিণ ও মধ্য গাজার কিছু বেকারি আবার চালু হয়েছে। গুতেরেস বলেন, ‘আমরা যেন ভুলে না যাই, এটা একটি যুদ্ধক্ষেত্র।
এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ ত্রাণ পৌঁছেছে, তা এক চা চামচের সমান।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, গাজার ৮০ শতাংশ এলাকা মানুষের চলাচলের জন্য নিষিদ্ধ এবং দ্রুত সহায়তা না পৌঁছালে আরও প্রাণহানি ঘটবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে কার্যকর অবস্থায় আছে মাত্র ১২টি। গত সপ্তাহে যুদ্ধের প্রভাবে চারটি প্রধান হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে, যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়া ও ইউরোপিয়ান গাজা হাসপাতালও রয়েছে। ইউনিসেফ জানায়, ২০ ট্রাক পুষ্টিকর খাদ্য দেইর আল বালাহ এলাকায় তাদের গুদামে পৌঁছেছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহায়তায় কয়েকটি বন্ধ বেকারি আবার চালু হয়েছে। তবে এসব প্রচেষ্টা এখনো প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। ইসরায়েল দাবি করেছে, কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে ৩০০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশ করেছে। কিন্তু গুতেরেস বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে এর এক-তৃতীয়াংশও গাজা শহরে পৌঁছাতে পারেনি। উত্তরের দিকে এখনো কোনো ত্রাণ পৌঁছায়নি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত নতুন ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থায় জাতিসংঘ অংশ নেবে না বলেও জানান তিনি। -আনাদোলু এজেন্সি