প্রতিপক্ষকে অসহায় করে দিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ইংলিশ ক্লাব চেলসি। লিখল এক নতুন রূপকথা।
কোল পালমার জোড়া গোল আর অ্যাসিস্টে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ৮২ হাজারের বেশি দর্শক হাজির ছিলেন। তাদের সামনেই ফাইনালে ৩-০ গোলে জয়ের রূপকথা লিখল চেলসি।
তবে কেবল পালমার নন আরও একজন নেপথ্য নায়ক আছেন চেলসির। তিনি হলেন গোলকিপার রবের্ত সানচেস। পিএসজির বেশ কয়েকটি সম্ভাবনাময় শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন তিনি। সানচেস রুখে না দাঁড়ালে পিএসজি দু-একটা গোল পেতেও পারতো।
চেলসির শুরুটা ছিলো আক্রমণাত্মক। প্রথমার্ধেই তাই তিন গোল হজম করতে হয় পিএসজিকে। শুরুতেই ছন্নছাড়া হয়ে পড়া ফরাসি দলটির শেষ পর্যন্ত আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি।
পালমার চেলসির হয়ে প্রথম গোলটি করেন ম্যাচের ২২ মিনিটে। পরের গোলটিও করেন তিনিই, ম্যাচের ৩০তম মিনিটে। পরের গোলটিতেও পালমারের অবদান আছে, তবে গোলটি এসেছে জোয়াও পেদ্রোর সরাসরি স্পর্শ থেকে ৪৩তম মিনিটে।
খেই হারানো পিএসজি শেষে হয় আরও ছন্নছাড়া। নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় ফরাসি ক্লাবটি। পেছন থেকে কুকুরেইয়ার চুল টেনে ধরায় ভিএআরের সাহায্যে পিএসজি মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেসকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল