ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে জাতিসংঘের সাত ইয়েমেনি কর্মীকে আটক করেছে হুথি বিদ্রোহীরা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) হুথির এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশটির রাজধানী সানা থেকে শুক্রবার এসব কর্মীকে আটক করা হয়। জাতিসংঘের কর্মীদের লক্ষ্য করে চালানো এটিই সর্বশেষ ধরপাকড়ের ঘটনা।
গত সপ্তাহের শুরুতে জাতিসংঘের একটি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের ২০ কর্মীকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন বিদেশি। আবার চলতি সপ্তাহের শুরুতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
হুথি বিদ্রোহীরা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থার কর্মীদের হয়রানি এবং আটক করে আসছে। তবে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আটকের ঘটনা বেড়েছে।
সানা’র এক নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, ‘গতরাত থেকে আজ বিকেল (স্থানীয় সময়) পর্যন্ত জাতিসংঘের সাত কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তারা সবাই ইয়েমেনি নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।’
এদিকে, হুথি বিদ্রোহীদের আরেকটি সূত্র জাতিসংঘ কর্মীদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সংখ্যা জানায়নি।
শুক্রবার জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানান, আগের দিন তাদের দুই কর্মীকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে জাতিসংঘের ৫৫ কর্মী হুথিদের হেফাজতে আছে।
ফারহান হক বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনার কারণে হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজের পদ্ধতি নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।’
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হুথি বিরোধী ইয়েমেন সরকার নতুন এই আটকের নিন্দা জানিয়েছে। তারা একে উত্তেজনা বাড়ানোর পদক্ষেপ বলেও বর্ণনা করেছে।
হুথিরা মূলত ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী ইরানঘেঁষা ‘প্রতিরোধ জোটের’ অংশ। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তারা প্রায়ই লোহিত সাগরে জাহাজ ও ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে আসছে। তারা একে এটি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের অংশ হিসেবে বিবেচনা করছে।
সূত্র : এএফপি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত