মার্কিন প্রশাসন মাদকচক্রের বিরুদ্ধে শক্তি বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ক্যারিবীয় সমুদ্র এলাকায় দেশটির সবচেয়ে নতুন ও শক্তিশালী বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড মোতায়েন করেছে। রণতরীর সঙ্গে কয়েক ডজন স্টেলথ যুদ্ধবিমান ও নজরদারি বিমান ও একাধিক সহায়ক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে, যা অঞ্চলজুড়ে নজরদারি ও আক্রমণক্ষমতা বাড়াবে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল বলেন, এই নৌ উপস্থিতি অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্তদের শনাক্ত, পর্যবেক্ষণ ও প্রতিহত করার সক্ষমতা জোরদার করবে। প্রশাসন ইতোমধ্যেই ছোট মাদকবাহী নৌকাগুলোতে আক্রমণ চালিয়েছে এবং এখন স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত পরিকল্পনা করছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, পরবর্তী ধাপে ‘স্থলই হবে লক্ষ্য’ এবং মাদক পাচারকারীদের উদ্বেগ ছাড়াতে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এই পদক্ষেপকে তীব্র সমালোচনা করেছেন; তিনি বলেন, এ ধরনের কড়া সামরিক উপস্থিতি সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরির শামিল। তল্লাশিতে সিআইএ-র সহযোগিতাও আছে বলে সংবাদে বলা হয়েছে। প্রশাসন হামলার ন্যায়সঙ্গতি প্রতিষ্ঠার জন্য বলছে, কিছু নৌকাকে তারা সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসী সহায়ক হিসেবে চিহ্নিত করেছে—তাই তাদের সম্পদ ধ্বংস করা বৈধ বলেছে কর্তৃপক্ষ।
বিডি প্রতিদিন/আশিক