রমজান মাসে অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন জটিল রোগ বালাইয়ের কারণে রোজা রাখতে পারেন না বিশেষ করে বয়স্ক এবং ক্রনিক ডিজিজে আক্রান্ত রোগীদের জন্য রোজা রাখা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না।
বিভিন্ন রকম সার্জারি বা ক্রনিক ডিজিজের রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন কিনা এ ব্যাপারে আপনার ফিজিশিয়ানের পরামর্শ নিতে পারেন। প্রাপ্তবয়স্ক এবং শারীরিকভাবে সুস্থ মানুষের মধ্যে যারা রোজা রাখতে পারেন তারা বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা ভোগ করে থাকেন।
অনেকগুলো গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা রাখার বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা আছে তার মধ্যে কিছু এখানে উল্লেখ না করলেই নয়। রোজা রাখলে উচ্চরক্তচাপ কমে, কারণ সারা দিন রোজা রাখার ফলে শরীরে সোডিয়াম এবং বিভিন্ন হরমোন যা উচ্চরক্তচাপের জন্য দায়ী তার একটা প্রপার ব্যালেন্স চলে আসে যার ফলে রক্তচাপ কমে।
রোজা রাখার ফলে নার্ভ গ্রোথ ফ্যাক্টর বলে একটি প্রোটিন আছে যেটা বেড়ে যায়। এটা ব্রেইনের নিউরনের সাম্যতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন রকম ব্রেইন ইনফ্লামেশন কমাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করে।
মানব শরীরের ইমিউনিটি ব্যালেন্সের একটি অন্যতম আশ্চর্যজনক উদাহরণ হচ্ছে অটো ফ্যাগি। এই প্রক্রিয়ার দ্বারা বডির ভিতরকার ইমিউনিটি ডিফেন্সগুলো যে কোনো ফরেইন জার্ম বা ব্যাকটেরিয়া বা ক্যান্সার সেল, যেগুলো বডির জন্য ক্ষতিকর সেগুলোর বিরুদ্ধে শরীরের ভিতর অটোমেটিক প্রটেকশন তৈরি করে ফেলে।
রোজা রাখার ফলে এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। এ ছাড়াও ক্ষুধা তৈরির জন্য দায়ী কিছু হরমোনের প্রপার ব্যালেন্স তৈরি করে, ইনফ্লামেশন কমায়, ভালো ঘুমের জন্য শরীরে যথাযথ পরিবেশ তৈরি করে।
লেখক: চিফ ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান ও বিভাগীয় প্রধান, ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ