জুলাই সনদের বিষয়ে আইন ও সংবিধান নির্বাচিত সরকার সংশোধন করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রশাসনের মধ্যে ফ্যাসিবাদী শক্তি নানাভাবেই ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা সুযোগ পেলেই অন্তর্বর্তী সরকার ও গণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে কাজ করবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রিকশা ও ভ্যানচালকদের রেইনকোট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়া পরিষদের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
জাতীয় নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়ে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘নানাভাবেই আমাদের সমাজের একেবারে মাটির গভীরে ফ্যাসিবাদ অবস্থান করছে অবৈধ টাকা ও অস্ত্র নিয়ে। নির্বাচনের আগে ওই সব অস্ত্র যদি উদ্ধার করতে না পারে অন্তর্বর্তী সরকার, তাহলে নির্বাচন বিপজ্জনক হবে। তাই অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।’
রিজভী বলেন, যারা রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করেন, তাঁরা দেখছেন আজ সচিবালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় ফ্যাসিবাদী শক্তি উদ্দেশ্য নিয়ে বসে আছে এবং বিভ্রান্তি তৈরিতে তারা কাজ করছে।
মানুষ বেকার থাকলে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাবে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘একের পর এক কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যদি মানুষের কর্মসংস্থান না থাকে তাহলে দুর্ভিক্ষের আলামত তৈরি হবে। আপনাদের দুই-একজন উপদেষ্টা হয়তো হাঁসের মাংস খেতে পারবেন যেকোনো জায়গায় কিন্তু জনগণ তো আর হাঁসের মাংস খেতে পারবে না। সেই আলামত, সেই পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে অন্তর্বর্তী সরকারকে নজর দিতে হবে। গার্মেন্ট সেক্টর থেকে ১ লাখ লোকের চাকরি চলে গেছে। কারণ অনেক ফ্যাসিবাদের দোসর মিলকারখানার মালিক। আমাদের দল থেকে বারবার বলা হয়েছে, মিলকারখানা যেন বন্ধ না হয়। প্রয়োজনে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।’
রিজভী বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল বলছে, আগেই গণভোট দিতে হবে, কিন্তু কেন? যদি মূল নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন করতে হয়- মূল নীতিমালা একটা অখণ্ড বিষয়, তারপরও সংবিধানের বিধান অনুযায়ী সংশোধন করা যায়। কিন্তু সেটা তো করবে পার্লামেন্ট।’ জিয়া পরিষদের সহসভাপতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু প্রমুখ।