পশ্চিম তীরের আল-মুগায়ির গ্রামে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর উপস্থিতিতে শত শত গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকরা।
উপড়ে ফেলা বেশিরভাগ গাছই জলপাই গাছ, যা পশ্চিম তীরের অর্থনীতি ও সংস্কৃতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জলপাই বাগানগুলো দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি কৃষক ও ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে সংঘাতের একটি প্রধান কারণ।
রামাল্লার কাছে অবস্থিত এই গ্রামের স্থানীয় কৃষক আবদেলাতিফ মোহাম্মদ আবু আলিয়া জানান, প্রায় এক হেক্টর জমিতে তার ৭০ বছরের পুরোনো জলপাই গাছগুলো নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মিথ্যা অজুহাতে তারা পুরো জমি সমান করে দিয়েছে। তিনি আরও জানান, তিনি ও অন্যান্য গ্রামবাসীরা উপড়ে ফেলা গাছগুলো পুনরায় রোপণ করা শুরু করেছেন।
এএফপির ফটোগ্রাফাররা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছেন যে মাটি উল্টে আছে, জলপাই গাছগুলো মাটিতে পড়ে আছে এবং গ্রামের চারপাশে পাহাড়ের ওপর কয়েকটি বুলডোজার কাজ করছে। একটি বুলডোজারে ইসরায়েলি পতাকা লাগানো ছিল এবং কাছেই ইসরায়েলি সামরিক যান দাঁড়িয়ে ছিল।
ঘাসান আবু আলিয়া একটি স্থানীয় কৃষি সংস্থার নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, তাদের লক্ষ্য হলো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা এবং গ্রামবাসীদের চলে যেতে বাধ্য করা। এটা কেবল শুরু, ধীরে ধীরে পুরো পশ্চিম তীর জুড়ে এটা ছড়িয়ে পড়বে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বুলডোজার দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। একটি ফিলিস্তিনি এনজিও জানিয়েছে, গত তিন দিনে গ্রামটি থেকে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানায়, তারা আল-মুগায়ির থেকে একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার বিরুদ্ধে কাছাকাছি স্থানে একটি সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ী থাকার অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৬ আগস্ট ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানায় যে একই গ্রামে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ১৮ বছর বয়সী এক যুবক নিহত হয়েছেন।
সূত্র: আরব নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল