সিলেটের সাদাপাথর ও জাফলং এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর পর্যটন সম্ভাবনাকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে সাম্প্রতিক পাথর লুটপাট। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে অবশেষে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আগামী মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে প্রশাসনের ‘চিরুনি অভিযান’, যা চলবে নিরবচ্ছিন্নভাবে যতদিন না পুরো এলাকা থেকে অবৈধ পাথর সম্পূর্ণভাবে উদ্ধার হয়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধভাবে উত্তোলিত ও মাটিচাপা দিয়ে লুকানো পাথর শনাক্ত ও উদ্ধার। অবৈধ পাথর ব্যবসায়ী, দখলদার ও সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটের সদস্যদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা। উদ্ধার করা পাথরগুলোকে প্রকৃত অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়া এবং পর্যটনকেন্দ্রগুলোর স্বাভাবিক পরিবেশ পুনরুদ্ধার করতে এই অভিযানে অংশ নেবেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর যৌথ বাহিনী।
সিলেটের প্রকৃতি ও পর্যটনকে রক্ষায় প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সচেতন মহল। আগামী ২৬ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে পাথরকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীর বিচারের মুখোমুখি হওয়া এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ পুনরুদ্ধার করতে প্রশাসনের এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। আগামী দিনগুলোতে কেউ যাতে সিলেটের প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে হের-ফের না করে সেইদিকে প্রশাসনকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রশাসনের দেওয়া ৩ দিনের আল্টিমেটাম আগামী ২৫ তারিখ শেষ হবে। ঘোষিত এই আল্টিমেটামের পর যদি কেউ পাথর ফিরিয়ে না দেন তাহলে আগামী ২৬ আগস্ট সিলেটের লুণ্ঠিত সাদাপাথর উদ্ধারে প্রশাসনের চিরুনি অভিযান পরিচালিত হবে। শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকাল থেকে রবিবার (২৪ আগস্ট) বিকাল ৬টা পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ঘনফুট পাথর স্বেচ্ছায় দিয়ে আসছেন পাথর লুটকারীরা।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘পাথর লুটে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা কাউকে রাজনৈতিক পরিচয় বা প্রভাব বিবেচনায় ছাড় দেবে না। যারাই প্রকৃতির ক্ষতি করেছে, তাদের বিচার হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন