সম্পূরক বৃত্তি, জকসু নীতিমালা ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে গতকাল দিনভর উত্তাল ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। পূর্ব ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে দাবি আদায়ে একটানা ছয় ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ-প্রক্টর-রেজিস্ট্রারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
এদিন শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপরই পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কক্ষের সামনে সমবেত হয়ে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ কর্মসূচি পালন করেন। বেলা সাড়ে তিনটা থেকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ-প্রক্টর-রেজিস্ট্রারসহ সব প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে প্রশাসনিক ভবনের তালা ঝুলিয়ে ‘নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি পালন করেন। এ বিষয়ে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমাদের সম্পূরক বৃত্তি ও জকসু নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়ন হোক। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় নেতৃত্ব তৈরি হবে কিন্তু এটা এখনো হচ্ছে না। সম্পূরক বৃত্তির জন্য আমরা যমুনার সামনে রক্ত দিয়েছি, ঘাম দিয়েছি কিন্তু এরপরেও এটা পূরণ হয়নি। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের দুই দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত ‘নো ওয়ার্ক কর্মসূচি’ চলমান থাকবে। প্রশাসন আমাদের হয় দুই দফা দাবি মেনে নেবে নতুবা এভাবে অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকবে। ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, আমরা অবস্থান কর্মসূচি শেষে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ কর্মসূচি পালন করেছি কিন্তু তাতেও কোনো কাজ না হাওয়ায় নতুন করে আমরা ‘নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। তিনি আরও বলেন, আগামীকালও (আজ) যথারীতি সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আমাদের ‘নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি চলমান থাকবে যতক্ষণ না দুই দফার বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য না আসে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে যাবে। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। মঙ্গলবারই সিন্ডিকেট আহ্বান করে জকসু নীতিমালা পাস করে আমরা আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবারের মধ্যে ইউজিসিতে পাঠিয়ে দেব। জকসু নীতিমালা পাস হলে দুই এক দিনের ভিতরে আমরা রোডম্যাপ ঘোষণা করে দেব।
আইন পাস হলে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো বাধা বা চাপ নেই।