বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্টারশিপ আবারও পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত। মার্কিন বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স জানিয়েছে, রবিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে রকেটটি এক ঘণ্টাব্যাপী পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে উড়বে। তবে সময় পরিবর্তিত হতে পারে।
এই পরীক্ষায় কোনো মানুষ থাকবে না। রকেটটির আগের মিশনগুলোর মতোই এবারও কয়েকটি অসমাপ্ত লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করা হবে। তবে স্টারশিপ ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার বিস্ফোরণ ও নিয়ন্ত্রণ হারানোর মতো গুরুতর দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে কিছু ঘটনায় ফ্লোরিডার কাছের দ্বীপে ধ্বংসাবশেষ পড়েছে, এমনকি বাহামার উপকূলেও পৌঁছেছে।
গত জুনে টেক্সাসে স্থলভিত্তিক এক পরীক্ষার সময়ও একটি স্টারশিপ হঠাৎ বিস্ফোরিত হয় এবং স্পেসএক্সের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব ঘটনার কারণে সমালোচনা বেড়েছে। মেক্সিকো সরকারও তাদের উপকূলে ধ্বংসাবশেষ পড়ার অভিযোগে আইনি পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে। যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা তাদের আঞ্চলিক দ্বীপগুলোতে নিরাপত্তা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে।
তবুও মার্কিন বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এফএএ সর্বশেষ দুর্ঘটনার তদন্ত শেষ করে নতুন পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এ ঘটনায় কোনো মানুষ আহত হয়নি বা সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়নি। স্পেসএক্স ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রাংশ বদলসহ সংশোধনী পদক্ষেপ নিয়েছে।
স্পেসএক্স জানিয়েছে, বর্তমান সংস্করণের রকেট দিয়ে আরও দুটি পরীক্ষা করা হবে, এরপর নতুন প্রজন্মের আরও বড় ও শক্তিশালী রকেট তৈরি করা হবে। এ রকেট নাসার অ্যাপোলো মিশনের রকেটের দ্বিগুণ শক্তিশালী হবে।
স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক চান, ২০২৬ সালে একটি স্টারশিপ মঙ্গলে মানুষবিহীন মিশনে পাঠাতে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে নাসার নভোচারীদের চাঁদে পাঠাতে। এই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারও স্পেসএক্সকে সহায়তা করছে। এফএএ ইতোমধ্যে বছরে ২৫ বার পর্যন্ত পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের অনুমতি দিয়েছে, যা আগে ছিল মাত্র ৫ বার।
নাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক জ্যানেট পেট্রো বলেছেন, আমরা স্টারশিপের ওপর বড় বাজি ধরেছি। কঠিন সময় গেলেও স্পেসএক্স একটি দৃঢ় ও উচ্চাভিলাষী প্রতিষ্ঠান। সূত্র : সিএনএন
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল