শিরোনাম
প্রকাশ: ০৭:৫৫, রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫ আপডেট: ১৮:৩৫, রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

ডিজিটাল ভূমি সেবায় জনভোগান্তি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
ডিজিটাল ভূমি সেবায় জনভোগান্তি

ভূমিবিষয়ক সেবা সহজ করতে সরকারের চালু করা ডিজিটাল নামজারি ব্যবস্থা জনগণের জন্য এখন যন্ত্রণার সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনলাইনে আবেদন করেও মানুষকে আবার ভূমি অফিসে ছুটতে হচ্ছে, গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। সার্ভারের ত্রুটি, অদক্ষ জনবল ও জটিল প্রক্রিয়ার কারণে জমি কেনাবেচা স্থবির হয়ে পড়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সরকারের রাজস্ব আদায় ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে। ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সরেজমিন ঘুরে সেবাপ্রার্থীদের অসীম দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, সরকার ২০২০ সালে ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প’ হাতে নেয়। ভূমি ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত সেবাগুলো আধুনিক ও সহজলভ্য এবং দেশব্যাপী প্রধান সেবাগুলো অনলাইনভিত্তিক করার জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু পাঁচ বছর পরও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না। বরং সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ, অনলাইনে খতিয়ান পাওয়া যায় না, ফাইল হারিয়ে যায় সার্ভার থেকে, আর ভুল হলে তা সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই। ফলে মাসের পর মাস আবেদন ঝুলে থাকে।

ভূমিতে ‘ডিজিটাল’ ভোগান্তিএসব ডিজিটাল দুর্ভোগের কারণে অর্থনৈতিক সংকট তো আছেই, এমনকি মেয়ের বিয়ে, জরুরি চিকিৎসা কিংবা বিদেশযাত্রার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আটকে রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নামজারি ও খাজনা পরিশোধে ব্যাঘাত ঘটায় ভুক্তভোগীরা জরুরি সেবাগুলো থেকে বঞ্চিত রয়েছে। অনেকের বাড়ির নির্মাণকাজ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে।

রাজধানীর কয়েকটি ও আশপাশের ভূমি অফিস ঘুরে দেখা গেছে, মানুষ দিনের পর দিন দৌড়ঝাঁপ করেও করতে পারছে না। অনেকে বাধ্য হয়ে দালালের শরণাপন্ন হচ্ছে। এতে সরকারি ফি থেকে কয়েক গুণ বেশি টাকা দিতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দেশের প্রায় সব ভূমি অফিসেই সার্ভার ডাউন হয়ে কাজ বন্ধ থাকে নিয়মিত। কর্মকর্তাদের উপস্থিতি কম, প্রশিক্ষণের অভাব প্রকট। অনেক জায়গায় দায়িত্বে রাখা হয়েছে প্রশিক্ষণহীন কম্পিউটার অপারেটর। কেউ কেউ স্বীকার করেছেন, ‘কম্পিউটার চালাতে জানলেই হবে, আলাদা প্রশিক্ষণের দরকার নেই।’ এর ফলে নথি আপলোডে ভুল হয়, আর তা সংশোধনের কোনো পথ নেই। এ ছাড়া পাসপোর্ট দিয়ে আবেদনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা।

তথ্য বলছে, যেসব খাত থেকে সরকার আয় করে, তার মধ্যে প্রধান হলো ভূমি। দেশে যত বেশি জমির কাজ-কারবার হয়, সরকারের তত আয়। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সরকারের প্রধানতম আয়ের উৎসটিই দিনে দিনে সংকুচিত হয়ে আসছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তারা ডিজিটালের সুফল পাওয়ার বদলে ভোগান্তিতে পড়েছে। নামজারির একটি ফাইল আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পাদন হয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে আসতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে। এসি ল্যান্ড অফিসে চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে গেলে দেখা যায়, সার্ভারে ফাইলই নেই। তখন দেখা দেয় নতুন জটিলতা। শুরু হয় দীর্ঘসূত্রতা।

এদিকে এসি ল্যান্ড অফিসের কার্যক্রম ডিজিটাইজেশন করা হলেও রেজিস্ট্রার অফিসে কোনো ধরনের আধুনিকায়ন হয়নি। জানতে চাইলে ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার মুন্শী মোকলেছুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রেজিস্ট্রার অফিসে সব ধরনের কাজ শেষ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে এলে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করা হয়। এখানে খুব একটা সময় লাগে না। আমাদের অফিসে ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা না থাকায় কাগজপত্র যাচাই করা কঠিন। যদি এসি ল্যান্ড অফিসের ওয়েবসাইটের তথ্য আমাদের দেখার সুযোগ থাকত তবে এটি সহজ হতো। এটি খুব জরুরি।’

জমি রেজিস্ট্রি ও নামজারির বিষয়ে ঢাকার একাধিক ভূমি অফিস ও সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সরেজমিন তথ্য বলছে, অনলাইন হওয়ার পর থেকে আগের তুলনায় ভোগান্তি বেড়েছে। এর বড় কারণ হলো সার্ভার ডাউন। ফলে সঠিক সময়ে নামজারি করা যাচ্ছে না। এ কারণে দলিল করতেও বিলম্ব হচ্ছে। আগে যেখানে ম্যানুয়াল সিস্টেমে সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে সাধারণত নামজারি হয়ে যেত, এখন অনলাইনে শুধু সার্ভার ডাউনের কারণে তাতে এক থেকে দেড় মাস পর্যন্তও লেগে যাচ্ছে।

রাজধানীর রমনা সার্কেলের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সেবাপ্রার্থী আলাপকালে জানান, এখন যেভাবে অনলাইনে নামজারির ক্ষেত্রে ভোগান্তি তাতে মনে হচ্ছে আগেই ভালো ছিল। এ ছাড়া অনলাইন হওয়ার কারণে ভুলও হচ্ছে বেশি।

সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগের কথা স্বীকার করে সেই ভূমি অফিস অফিসের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘অনলাইনে অভ্যস্ত হতে সময় লাগে এটা সত্য, তাই পুরোপুরি অনলাইন সচল না হওয়া পর্যন্ত ম্যানুয়াল সিস্টেম বন্ধ করা ঠিক হয়নি। কারণ কিছুদিন আগে প্রায় দুই মাস অনলাইনে ত্রুটির কারণে নামজারিসহ সংশ্লিষ্ট নানা কাজ বন্ধ ছিল। তাই আমরা মনে করি, ভূমির মতো এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা অনলাইনে যে অ্যাপে কাজ করছি সেটা কতটুকু পরীক্ষিত সেটাও ভাবার বিষয় আছে। এটা আরো অনেক সময় নিয়ে গবেষণা চালিয়ে উদ্বোধন করলে বর্তমানে যে ভুলগুলো হচ্ছে তা হতো না। কারণ যেকোনো সময় বড় ধরনের হ্যাকারের কবলে পড়লে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।’

ডিজিটাইজেশনের নেতিবাচক প্রভাব সর্বত্র

কাজে গতি বৃদ্ধির বদলে বিভিন্ন এলাকায় মুখ থুবড়ে পড়েছে ডিজিটাইজেশন পদ্ধতি। ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি সাবরেজিস্ট্রি অফিসের তথ্য বলছে, ডিজিটাল যন্ত্রণার শিকার হয়ে জমির রেজিস্ট্রি ও নামজারি অর্ধেকে নেমে এসেছে। উত্তরা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডিজিটাল সেবা চালু করা হলেও মানুষ ভোগান্তি এড়াতে ম্যানুয়ালি বেশি রেজিস্ট্রি করছে। দেখা যায়, ২০২২ সালে ম্যানুয়াল ১৩ হাজার ৭৩৯টি, ই-রেজিস্ট্রি ৪০২টি। পরের বছর ম্যানুয়াল ১৪ হাজার ২৬৪টি, ই-রেজিস্ট্রি ৬৯১টি। ২০২৪ সালে ম্যানুয়াল ১২ হাজার ৪১৪টি, ই-রেজিস্ট্রি ৫৪৯টি। গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ই-রেজিস্ট্রি বন্ধ আছে।

এদিকে ডিজিটাল নামজারির কারণে নারায়ণগঞ্জ জেলার সব কটি সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা গেছে। কালের কণ্ঠ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার দুটি সাবরেজিস্ট্রি অফিসের চার বছরের দলিল সম্পাদনের পরিসংখান হাতে পেয়েছে। এতে দেখা গেছে, যখন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে দলিল সম্পাদন করা হতো তখন দিনে ১৫০ থেকে ২০০টি দলিল হতো। আর এখন সম্পাদন হয় দিনে মাত্র ২৫ থেকে ৩০টি। এর বেশির ভাগই হেবানামা দলিল ও পাওয়ারনামা দলিল। সাফকবলা দলিল একেবারেই কম হয়। এ তথ্যগুলো জানিয়েছেন রূপগঞ্জ পূর্ব সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নকলনবিশ আনোয়ার জাহিদ পাবেল এবং পশ্চিম সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মোহরা আছিয়া আক্তার লিপি।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, রূপগঞ্জ পশ্চিম সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ২০২২ সালে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হয়েছে ১৯ হাজার ৮৩৫টি। পরের বছর ডিজিটাল হতেই তা কমে দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৮০২টিতে। ২০২৪ সালে আরো কমে ১৪ হাজার ৩২৯টি। চলতি বছর জুলাই পর্যন্ত রেজিস্ট্রি হয়েছে মাত্র চার হাজার ২৪৫টি।

এ ছাড়া রূপগঞ্জ পূর্ব সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ২০২২ সালে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে যেখানে কাজ হয়েছে ২২ হাজারটি, সেখানে পরের বছর ডিজিটালে হয়েছে মাত্র ১০ হাজার ৯টি। ২০২৪ সালে ৯ হাজার ৪৫টি এবং চলতি বছর জুলাই পর্যন্ত তিন হাজার ৮৯০টি।

এদিকে গাজীপুরের রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমান জানান, ডিজিটাল নামজারির জমাভাগ দিয়ে কী পরিমাণ দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে, সে বিষয়ে তাঁর অফিসে কোনো তথ্য নেই।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড সাবরেজিস্ট্রি অফিসে যোগাযোগ করেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য মেলেনি। কর্মকর্তারা জানান, এ ধরনের তথ্যগুলো আপডেট করা থাকে না।

রাজধানীর ভূমি অফিসগুলোতে যা দেখা গেল

অতি সম্প্রতি ঢাকার একটি ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তাদের অনেকেই অনুপস্থিত। এ সময় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার আনোয়ার হোসেন (৬০) জানান, ২০২৩ সালে অনলাইন নামজারির সময় তাঁর নামে অন্যদের জমি এবং অন্যদের নামে তাঁর জমি নামজারি হয়ে গেছে। দুই বছর ধরে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা ঘুরেও এর কোনো সমাধান তিনি পাননি। সর্বশেষ ঢাকায় এসেও তিনি কোনো কূলকিনারা পাচ্ছেন না।

শরীয়তপুরের জাজিরার এলহাম হোসেন একই ধরনের অভিযোগ করেন। তিনি বাবার জমির খারিজের আবেদন করলেও সেটি তাঁর নিজের নামে হয়ে গেছে। স্থানীয় অফিস ও হটলাইনে (১৬১২২) সাড়া না পেয়ে তিনি ঢাকায় এসে দফায় দফায় অপেক্ষা করছেন সংশোধনের জন্য।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো. পারভেজ হাসান বলেন, ‘নানা কারণে এমন সমস্যা হতে পারে। আমি নতুন দায়িত্বে এসেছি, দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।’

এদিকে ঢাকার আরেকটি ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অনেকে দিনের পর দিন ঘুরেও কাজের অগ্রগতি পাচ্ছে না। সার্ভারের অজুহাতে সেবাপ্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। 

সাইফুল নামের একজন বলেন, পড়াশোনা করতে ছেলেকে বিদেশ পাঠাবেন। সে কারণে জমি বিক্রির চেষ্টা করছেন। কিন্তু কাগজপত্র হালনাগাদ করতে পারছেন না বলে জমি বিক্রি করতে পারছেন না তিনি।

ভূমি অফিসে ঘুরতে আসা এক সেবাগ্রহীতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘যদি সার্ভার ঠিক থাকে তাহলে ৮০ শতাংশ কাজ সময়ে করা যায়। কিন্তু সার্ভার না থাকলে ৮০ শতাংশ কাজই আটকে যায়।’

অনলাইনে ফাইল না থাকার ভোগান্তি গ্রামেও

চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, নামজারি ও খতিয়ান সংশ্লিষ্ট অনলাইন সেবায় ভোগান্তির শেষ নেই। আবেদন করে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও অনেকেই পাচ্ছে না শুনানির নোটিশ বা চূড়ান্ত খতিয়ান।

সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নুরুন্নবী নামজারির জন্য সব নথি জমা দিয়েছিলেন ভূমি অফিসে। কিন্তু দুই মাস অপেক্ষার পর জানতে পারেন যে তাঁর কোনো ফাইলই নেই। পরে আবার নতুন করে আবেদন করতে বাধ্য হন তিনি।

সোনাইছড়ির বাসিন্দা মো. সোলেমান অভিযোগ করেন, ‘৮-৯ মাস ধরে অফিসে গেলেই বলা হয়েছে সার্ভার ডাউন। এভাবে সময় চলে যাচ্ছে, কাজ হচ্ছে না।’

মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের জাহেদ হোসেন জানান, তাঁর বাবার মৃত্যুর পর ওয়ারিশদের নামে সম্পত্তি নামজারি করতে গিয়ে অনলাইনে কোনো খতিয়ান খুঁজে পাননি। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে আবেদন করতে হয়েছে। এতে অতিরিক্ত সময়, খরচ ও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘অনলাইন হওয়ার পরও যদি হয়রানির শিকার হতে হয়, তাহলে অনলাইন করে লাভ কী হলো? আগের পদ্ধতিই তো ভালো ছিল।’

এ উপজেলার দলিল লেখক ওমর ফারুক ভূঁইয়া বলেন, ‘অনলাইন হওয়ার ফলে মানুষ এখন আরো বেশি সমস্যায় পড়ছে। সার্ভারে নিয়মিত ত্রুটি দেখা দেয়। তা ছাড়া খাজনা পরিশোধেও জটিলতা বেড়েছে।’

এদিকে ডিজিটাল দুর্ভোগের কারণে বিভিন্ন এলাকায় লেনদেন স্থবির হয়ে পড়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিটি এসি ল্যান্ড কার্যালয়ে পুরনো সফটওয়্যারের কার্যক্রম বন্ধের কারণে গড়ে দেড় থেকে তিন হাজার পুরনো নামজারি, পরচা ও খাজনা পরিশোধের আবেদন মীমাংসা করা যাচ্ছে না। নতুন সফটওয়্যারে এসব আবেদন মীমাংসার সুযোগ রাখা হয়নি।

রূপগঞ্জ পূর্ব ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে এখানে মাত্র ৫১ লাখ ৬৯ হাজার ৯১০ টাকার খাজনা আদায় হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় রাজস্ব আয়ে বিশাল হ্রাস ঘটেছে। অন্য ভূমি অফিসগুলোরও অবস্থা একই রকম।

রূপগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী ফয়সাল আহম্মদ বলেন, ‘ডিজিটাল দুর্ভোগের কারণে জমি বেচাকেনা প্রায় চার ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। সরকারের রাজস্ব কমেছে।’

দলিল লেখক মফিজুর রহমান যোগ করেন, ‘আগে দিনে আট থেকে ১০টি দলিল করতে পারতাম। এখন সারা দিনে, এমনকি দু-তিন দিনে বড়জোর একটিমাত্র দলিল হয়। এ সমস্যার মূল কারণ ডিজিটাল ব্যবস্থার ব্যর্থতা।’

অদক্ষ কর্মী দিয়ে চলছে সার্ভার

ঢাকার উপকণ্ঠ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, অদক্ষ কর্মীদের কারণে কিভাবে মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। যদিও স্থানীয় কর্মকর্তাদের দাবি বা অজুহাত সার্ভারকে ঘিরে। নতুন আপডেটের কারণে পুরনো তথ্য ঠিকমতো প্রদর্শিত হচ্ছে না বলে দাবি তাঁদের।

রূপগঞ্জ পূর্ব ভূমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত নামজারি সহকারী ও নাজির কাম ক্যাশিয়ার ইমরান হোসেন বলেন, ‘মাঝেমধ্যে সার্ভার ডাউন থাকে। আগের চেয়ে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবু অনেক সময় এরর আসে। সমস্যার জন্য আমাদের কিছু করার নেই।’

পশ্চিম ভূমি অফিসের নামজারি সহকারী ঝর্ণা আক্তার বলেন, ‘নামজারি করতে প্রায় ২৮ দিন সময় লাগে। সার্ভারের সমস্যার কারণে আরো দেরি হয়। নতুন সার্ভার আপডেটের পর পুরনো রেকর্ডগুলো ঠিকমতো আসছে না।’

রূপগঞ্জ পূর্বের রাহিম মিয়া এবং পশ্চিমের মো. পলাশ স্বীকার করেছেন, তাঁরা কোনো অফিশিয়াল পদ বা প্রশিক্ষণ ছাড়াই কাজ করছেন।

কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কম্পিউটার অপারেটর জিসান বলেন, ‘ঠিকমতো কাজ করা যায় না। সার্ভার প্রায় সময়ই ডাউন থাকে, ভোগান্তির শেষ নেই।’

সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা যে সার্ভারে কাজ করি তা শতভাগ উপযুক্ত নয়। সক্ষমতা প্রায় ৮০ শতাংশ হওয়ায় কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এই অফিসের কেউ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়।’

ডিজিটাল ভুলে হতাশা, তিনবার আবেদনেও সেবা মেলেনি

সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মাদামবিবিরহাটের বাসিন্দা মীনা আক্তার চার দাগের ১২ শতক জায়গার নামজারির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। আবেদনকালে তিনি চারটি দাগ উল্লেখ করেছিলেন।

তবে শুনানিতে দেখা যায়, চারটি দাগের মধ্যে একটি দাগে তাঁর সম্পত্তি নেই। অনলাইন সিস্টেমে একবার ভুল হওয়ায় ভূমি অফিস আবেদনটি বাতিল করে দেয়। মীনা বারবার অনুরোধ করলেও অনলাইনে আবেদন সংশোধনের সুযোগ নেই বলে জানিয়ে পুনরায় সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করতে বলা হয়।

ফলে একই জায়গার জন্য তিনবার আবেদন করতে হয় মীনাকে। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল হওয়ায় সেবা সহজ হবে বলে সবাই বলেছিল। কিন্তু বাস্তবে এখন আরো বেশি জটিল হয়ে গেছে। সমস্যার কোনো সমাধান নেই।’

পাসপোর্ট ছাড়া আবেদন না হওয়ায় বিপাকে প্রবাসীরা

মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ইউনিয়নের দুয়ারু গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের পুত্র সৌদি আরব প্রবাসী মোহাম্মদ হাছান বলেন, ‘প্রবাস থেকে দেশে এসে টাকার সংকটে পড়ে ৫ শতক জমি বিক্রির জন্য বায়না করি। কিন্তু অনলাইন সিস্টেমের কারণে জন্ম নিবন্ধন ও এনআইডি না থাকায় জমি ক্রেতার নামে রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। পরে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করি। ভোটার হওয়ার কাজ সম্পন্ন হলেও জমি বিক্রি এখনো সম্ভব হচ্ছে না।’

একই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি পার্শ্ববর্তী সীতাকুণ্ডের মানুষও। এখানকার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পাসপোর্ট দেখিয়ে নামজারি করার কোনো সুযোগ নিয়মে নেই। আমাদের কাছে জন্ম নিবন্ধন বা এনআইডি ছাড়া নামজারি করার কোনো বিকল্প নেই। অনেক সময় এতে মানুষ বিরক্ত হয়।’

দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বয়ান

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণে ডিজিটাল জরিপ পরিচালনা প্রকল্পের পরিচালক যুগ্ম সচিব মো. শেখ শাফায়াত মাহবুব চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ডিজিটাল জরিপের আওতায় পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনাকে নিয়ে আসতে। এরই ধারাবাহিকতায় আশা করছি, পাঁচটি জেলায় প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করতে পারব।’

ভূমি বিশেষজ্ঞ ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব (অব.) শাহ মো. আবু রায়হান আলবেরুনী বলেন, ভূমি অফিসে সমস্যা থাকলেও নাগরিকদের আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন এবং দালালদের সঙ্গে সম্পর্ক এড়িয়ে চলতে হবে। 

নামজারি ও ট্যাক্স পরিশোধে সাময়িক সমস্যার বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। বর্তমানে সার্ভার আপডেট প্রক্রিয়ায় রয়েছে এবং খুব শিগগির সব সমস্যার সমাধান হবে। সফটওয়্যার একীভূতকরণের মাধ্যমে আগের ম্যানুয়াল সিস্টেমগুলোকে আরো উন্নত করা হয়েছে।

সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ

বিডি প্রতিদিন/নাজিম

এই বিভাগের আরও খবর
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন
শেখ হাসিনার মামলায় রবিবার থেকে যুক্তিতর্ক শুরু, হবে সরাসরি সম্প্রচার
শেখ হাসিনার মামলায় রবিবার থেকে যুক্তিতর্ক শুরু, হবে সরাসরি সম্প্রচার
সপ্তম জাতীয় মানবসম্পদ সম্মেলন ৫ ডিসেম্বর
সপ্তম জাতীয় মানবসম্পদ সম্মেলন ৫ ডিসেম্বর
দেশে প্রথমবারের মতো কাল থেকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া শুরু
দেশে প্রথমবারের মতো কাল থেকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া শুরু
চিরনিদ্রায় শায়িত সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
চিরনিদ্রায় শায়িত সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
সাবেক নৌবাহিনী প্রধান সরওয়ার জাহান নিজামের সামরিক মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন
সাবেক নৌবাহিনী প্রধান সরওয়ার জাহান নিজামের সামরিক মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন
ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা ১৫ কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে
ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা ১৫ কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে
রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক এমপি পাভেল
রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক এমপি পাভেল
মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে অজ্ঞতা অন্যতম প্রতিবন্ধকতা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে অজ্ঞতা অন্যতম প্রতিবন্ধকতা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
সেফ এক্সিট নয়, আমরা চাই স্বাভাবিক এক্সিট : ধর্ম উপদেষ্টা
সেফ এক্সিট নয়, আমরা চাই স্বাভাবিক এক্সিট : ধর্ম উপদেষ্টা
পিসিএ সমঝোতা দ্রুততম সময়ে সম্পন্নে বাংলাদেশ-ইইউ ঐকমত্য
পিসিএ সমঝোতা দ্রুততম সময়ে সম্পন্নে বাংলাদেশ-ইইউ ঐকমত্য
আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন সেই চিকিৎসক বাসুদেব
আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন সেই চিকিৎসক বাসুদেব
সর্বশেষ খবর
পরিচয় মিলেছে মালয়েশিয়ার কারাগারে থাকা নাম-পরিচয়হীন বাংলাদেশির
পরিচয় মিলেছে মালয়েশিয়ার কারাগারে থাকা নাম-পরিচয়হীন বাংলাদেশির

এই মাত্র | পরবাস

পাঁচ দলের বিপিএল আয়োজনের পরিকল্পনা বিসিবির
পাঁচ দলের বিপিএল আয়োজনের পরিকল্পনা বিসিবির

৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

‘নির্বাচনে কোন দল এলো, না এলো তা দেখার দায়িত্ব সরকারের নয়’
‘নির্বাচনে কোন দল এলো, না এলো তা দেখার দায়িত্ব সরকারের নয়’

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে দুই মাদক কারবারি আটক
বাগেরহাটে দুই মাদক কারবারি আটক

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে অবৈধভাবে মাছ শিকার, চার জেলে আটক
সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে অবৈধভাবে মাছ শিকার, চার জেলে আটক

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

করতোয়া নদীতে গোসলে নেমে কিশোর নিখোঁজ
করতোয়া নদীতে গোসলে নেমে কিশোর নিখোঁজ

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে জিডিপির ৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে জিডিপির ৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হবে’

৪০ মিনিট আগে | রাজনীতি

শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

৪৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শেখ হাসিনার মামলায় রবিবার থেকে যুক্তিতর্ক শুরু, হবে সরাসরি সম্প্রচার
শেখ হাসিনার মামলায় রবিবার থেকে যুক্তিতর্ক শুরু, হবে সরাসরি সম্প্রচার

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতি সাধারণ জনগণের উপকারে আসবে না : মঈন খান
পিআর পদ্ধতি সাধারণ জনগণের উপকারে আসবে না : মঈন খান

৫৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘রাষ্ট্রসংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে জনগণের ন্যায়বিচার ফিরে আসবে’
‘রাষ্ট্রসংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে জনগণের ন্যায়বিচার ফিরে আসবে’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সপ্তম জাতীয় মানবসম্পদ সম্মেলন ৫ ডিসেম্বর
সপ্তম জাতীয় মানবসম্পদ সম্মেলন ৫ ডিসেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনের রাস্তায় উঠে গেছে গাড়ি, শেষ পর্যন্ত চালিয়ে নিতে হবে: ফখরুল
নির্বাচনের রাস্তায় উঠে গেছে গাড়ি, শেষ পর্যন্ত চালিয়ে নিতে হবে: ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রেললাইন, মেডিকেল কলেজ ও নদী সংস্কারের দাবিতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন
রেললাইন, মেডিকেল কলেজ ও নদী সংস্কারের দাবিতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষা হচ্ছে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা: কাদের গনি চৌধুরী
শিক্ষা হচ্ছে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা: কাদের গনি চৌধুরী

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাসচাপায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু
বাসচাপায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে প্রথমবারের মতো কাল থেকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া শুরু
দেশে প্রথমবারের মতো কাল থেকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া শুরু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিরনিদ্রায় শায়িত সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
চিরনিদ্রায় শায়িত সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক নৌবাহিনী প্রধান সরওয়ার জাহান নিজামের সামরিক মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন
সাবেক নৌবাহিনী প্রধান সরওয়ার জাহান নিজামের সামরিক মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিক্ষুকের ঘরে মিলল বস্তাভর্তি টাকা
ভিক্ষুকের ঘরে মিলল বস্তাভর্তি টাকা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা ১৫ কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে
ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা ১৫ কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাকসুতে ভোট দিতে পর্যাপ্ত সময় পাবেন ভোটাররা, বহিরাগত প্রবেশে কঠোরতা
চাকসুতে ভোট দিতে পর্যাপ্ত সময় পাবেন ভোটাররা, বহিরাগত প্রবেশে কঠোরতা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ফুটবলের পুনর্জাগরণ ঘটবে’
‘জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ফুটবলের পুনর্জাগরণ ঘটবে’

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাঁচ বছরে এলপিজির চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে আড়াই মিলিয়ন টন
পাঁচ বছরে এলপিজির চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে আড়াই মিলিয়ন টন

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়নই হবে আগামীর বাংলাদেশের শক্তি : মীর হেলাল
নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়নই হবে আগামীর বাংলাদেশের শক্তি : মীর হেলাল

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছুরিকাঘাতে ট্রাকচালকের মৃত্যু
ছুরিকাঘাতে ট্রাকচালকের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রবিবার থেকে লাগাতার আন্দোলনে যাচ্ছেন শিক্ষকরা
রবিবার থেকে লাগাতার আন্দোলনে যাচ্ছেন শিক্ষকরা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
সাবেক মন্ত্রীর মেয়ের সঙ্গে বাগদান সারলেন ইশরাক
সাবেক মন্ত্রীর মেয়ের সঙ্গে বাগদান সারলেন ইশরাক

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্প কেন নোবেল পেলেন না, জানাল নোবেল কমিটি
ট্রাম্প কেন নোবেল পেলেন না, জানাল নোবেল কমিটি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পকেই নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া!
ট্রাম্পকেই নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাই খেলা মানায় না: তানজিম সাকিব
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাই খেলা মানায় না: তানজিম সাকিব

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কায় তরল গ্যাস আনা জাহাজে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কায় তরল গ্যাস আনা জাহাজে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা ছেড়ে অভিনয়ে মিষ্টি জান্নাত
আলোচনা ছেড়ে অভিনয়ে মিষ্টি জান্নাত

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

২০২৭ বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ
২০২৭ বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশ পণ্ড, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশ পণ্ড, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা ১৫ কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে
ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা ১৫ কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নোবেল পাওয়ার পর মাচাদোর সঙ্গে যে কথা বললেন ট্রাম্প
নোবেল পাওয়ার পর মাচাদোর সঙ্গে যে কথা বললেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতাদের আজ ঢাকায় ডেকেছে জাতীয় পার্টি
নেতাদের আজ ঢাকায় ডেকেছে জাতীয় পার্টি

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উপদেষ্টা হিসেবে আমাদের সেফ এক্সিটের দরকার নেই : আসিফ নজরুল
উপদেষ্টা হিসেবে আমাদের সেফ এক্সিটের দরকার নেই : আসিফ নজরুল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিউজিল্যান্ডের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের
নিউজিল্যান্ডের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন উত্তর কোরিয়ার
‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন উত্তর কোরিয়ার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যে আরেক দেশে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যে আরেক দেশে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানে রাতভর হামলা-সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ১২
পাকিস্তানে রাতভর হামলা-সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ১২

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান নিয়ে যা বললেন তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান নিয়ে যা বললেন তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে বিস্ফোরক তৈরির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের আশঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রে বিস্ফোরক তৈরির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের আশঙ্কা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ: বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের
চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ: বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাত রুটে অস্ত্র ঢুকছে দেশে
সাত রুটে অস্ত্র ঢুকছে দেশে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে
আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সম্পর্ক জোরদারে কাবুলে ফের দূতাবাস খুলছে ভারত
সম্পর্ক জোরদারে কাবুলে ফের দূতাবাস খুলছে ভারত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্ঘটনার কবলে র‌্যাবের গাড়ি, নিহত ১, আহত অর্ধশত
দুর্ঘটনার কবলে র‌্যাবের গাড়ি, নিহত ১, আহত অর্ধশত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা টাস্ক ফোর্সে যোগ দিতে প্রস্তুত তুরস্ক
গাজা টাস্ক ফোর্সে যোগ দিতে প্রস্তুত তুরস্ক

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ভারতীয় মদদপুষ্ট’ ৩০ জঙ্গিকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের
‘ভারতীয় মদদপুষ্ট’ ৩০ জঙ্গিকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোমবার ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস
সোমবার ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভেনেজুয়েলাকে হারিয়ে জয়ে ফিরল আর্জেন্টিনা
ভেনেজুয়েলাকে হারিয়ে জয়ে ফিরল আর্জেন্টিনা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তদবিরেও মেলে না ময়নাতদন্ত রিপোর্ট
তদবিরেও মেলে না ময়নাতদন্ত রিপোর্ট

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নোবেলজয়ী ভেনেজুয়েলার মারিয়া করিনা মাচাদোকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
নোবেলজয়ী ভেনেজুয়েলার মারিয়া করিনা মাচাদোকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন সেই চিকিৎসক বাসুদেব
আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন সেই চিকিৎসক বাসুদেব

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
কে হচ্ছেন জামায়াতের নতুন আমির
কে হচ্ছেন জামায়াতের নতুন আমির

প্রথম পৃষ্ঠা

চূড়ান্ত প্রার্থীর খোঁজে বিএনপি
চূড়ান্ত প্রার্থীর খোঁজে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজার ছাড়ছেন বিনিয়োগকারী
শেয়ারবাজার ছাড়ছেন বিনিয়োগকারী

প্রথম পৃষ্ঠা

ফুটপাতের ভাইরাল কেকপট্টি উচ্ছেদ
ফুটপাতের ভাইরাল কেকপট্টি উচ্ছেদ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন পতিত জমিতে
সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন পতিত জমিতে

পেছনের পৃষ্ঠা

সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারে সরব সদর-কামারখন্দ
সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারে সরব সদর-কামারখন্দ

নগর জীবন

মরুর ফল সাম্মাম চাষে সাফল্য
মরুর ফল সাম্মাম চাষে সাফল্য

পেছনের পৃষ্ঠা

কিছু না করেই নোবেল পেয়েছেন ওবামা
কিছু না করেই নোবেল পেয়েছেন ওবামা

প্রথম পৃষ্ঠা

মসজিদের চাবি নিয়ে ফরিদপুরে লঙ্কাকাণ্ড
মসজিদের চাবি নিয়ে ফরিদপুরে লঙ্কাকাণ্ড

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াত এনসিপি
ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াত এনসিপি

নগর জীবন

হলো না শরৎ উৎসব
হলো না শরৎ উৎসব

পেছনের পৃষ্ঠা

সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি রোহিঙ্গা যুবক গুলিবিদ্ধ
সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি রোহিঙ্গা যুবক গুলিবিদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

গাজীপুরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মৃত্যু
গাজীপুরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

ট্রাফিকের মাথা ফাটালেন অটোরিকশা চালক
ট্রাফিকের মাথা ফাটালেন অটোরিকশা চালক

খবর

সাংগঠনিক সংকট বাড়ছে এনসিপিতে
সাংগঠনিক সংকট বাড়ছে এনসিপিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ শিশুর হাতে
কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ শিশুর হাতে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিশ্বনাথে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ
বিশ্বনাথে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

ঋণে দিশাহারা ব্যবসায়ীরা
ঋণে দিশাহারা ব্যবসায়ীরা

প্রথম পৃষ্ঠা

শাহজালালে ৬৫ ভরি সোনাসহ আটক ২
শাহজালালে ৬৫ ভরি সোনাসহ আটক ২

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট ডাকাতি করলে প্রতিহত করতে হবে
ভোট ডাকাতি করলে প্রতিহত করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আসামি ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার
আসামি ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

ব্যভিচার গর্হিত অপরাধ
ব্যভিচার গর্হিত অপরাধ

সম্পাদকীয়

উপশম সেবায় আমরা কোথায়
উপশম সেবায় আমরা কোথায়

সম্পাদকীয়

কয়েকজন মিলে আইন করলে গণতন্ত্র হয় না
কয়েকজন মিলে আইন করলে গণতন্ত্র হয় না

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বামীর সম্পত্তির দাবি তিন সন্তান ফেলে পালানো নারীর
স্বামীর সম্পত্তির দাবি তিন সন্তান ফেলে পালানো নারীর

দেশগ্রাম

ইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে
ইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হতে হবে
জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ছয়জনকে কুপিয়ে গাছের মগডালে যুবক, শিশু নিহত
ছয়জনকে কুপিয়ে গাছের মগডালে যুবক, শিশু নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

কিয়েভে ব্যাপক ড্রোন-মিসাইল হামলা রাশিয়ার
কিয়েভে ব্যাপক ড্রোন-মিসাইল হামলা রাশিয়ার

পূর্ব-পশ্চিম