প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ফিলিস্তিনের গণহত্যায় ইন্দো-মার্কিন বাহিনী মদত জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইন্দো-মার্কিন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মধ্যে আশ্রিত ইসরায়েলিরা আপন দেশে ফিলিস্তিনিদেরই পরবাসী বানাচ্ছে। অথচ মুসলিম বিশ্ব, পরাশক্তি তারা নির্বিকার, এই গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার নয়। এমনকি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই গণহত্যার মদত জোগাচ্ছে ইন্দো-মার্কিন বাহিনী। সারা পৃথিবীতে মুসলিম বিশ্বের যারা মোড়ল তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সারা বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষে আপনাদের কণ্ঠ উচ্চকিত করবেন, ব্যবস্থা নেবেন, যেন বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের ফলে বিশ্বের পরাশক্তিরা যে ইসরায়েলের পক্ষে ভূমিকা রাখছে এটা বন্ধ হয়। ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ যারা করছে, তাদের বাধ্য করুন তাদের হাতে মারণাস্ত্র যেন তুলে না দেয়। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত এই এলাকায় গণহত্যা যেন আর না হয়। আমরা অবিলম্বে ফিলিস্তিনের গাজা, রাফায় গণহত্যা বন্ধ চাই।’
বিএনপির ছাত্রবিষয়কসম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘মানবাধিকার সংগঠন যারা সারা বিশ্বে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে কিন্তু সর্বোচ্চ মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে গাজা ও রাফায়, সেটা নিয়ে কোনো কথা বলছে না। নিন্দা জানাই জাতিসংঘকে, যারা সারা বিশ্বের শান্তি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু মুসলমানদের ছোট্ট একটা আবাসভূমি গাজায় লাখ লাখ মানুষকে যখন নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, নির্বাসিত করা হচ্ছে, সে ব্যাপারে কোনো কথা বলছে না, ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ধিক্কার জানাই সারা বিশ্বের মুসলমানদের, যারা আজ পর্যন্ত কোনো প্রতিবাদ না জানিয়ে মোড়ল সেজে বসে আছে।’