অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আলোচিত রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তে তৎকালীন সরকারের সময়ে সীমাহীন গাফিলতি হয়েছে। এ ঘটনায় গঠিত পর্যালোচনা কমিটি কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আসিফ নজরুল। এর আগে গতকাল পর্যালোচনা কমিটি বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রথম বৈঠকে বসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা পর্যালোচনায় গত মাসে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে প্রধান করে ছয় সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি করে সরকার। পর্যালোচনা কমিটির সদস্যরা হলেন- জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক আলী আশফাক ও রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল হুদা। আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২ বিলিয়ন ডলার চুরি বা লুট করার পরিকল্পনা ছিল। শেষ পর্যন্ত পেরেছে ৮৮ মিলিয়ন ডলার। তার মধ্যে ৬৬ মিলিয়ন ডলার এখনো উদ্ধার করা যায়নি। বাকি টাকা উদ্ধার হয়েছে। পর্যালোচনা কমিটির প্রধান হিসেবে আমার কাছে মনে হয়েছে, এটি আসলে পুরো বাংলাদেশ লুট করার একটি পরিকল্পনা ছিল। ২ বিলিয়ন ডলার যদি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চলে যেত আজকে দুর্ভিক্ষ বা প্রায় দুর্ভিক্ষ অবস্থায় পড়তে হতো।
গাফিলতির প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, সিআইডিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের যারা জড়িত আছেন, তাদের নাম অভিযোগপত্রে না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনকে ভালো উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, সেই প্রতিবেদনের পর্যালোচনাও শুনেছেন। কমিটি নির্ধারিত তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবে বলে আশা করেন আইন উপদেষ্টা।