অনেক জল্পনাকল্পনার পর নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের বিপ্লবীরা। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নিয়ে জনগণের মধ্যেও তৈরি হয়েছে বিপুল প্রত্যাশা। জনগণের সমর্থন ও ভোট নিয়ে দলটি পরবর্তী সংসদে সরকার গঠন করতে পারে-এমন সম্ভাবনাও দেখছেন অনেকে। সে যাত্রায় নতুন করে পথচলা শুরু করেছে এনসিপি। দলের নেতৃবৃন্দ নেমেছেন এখনো বাকি কাজগুলো পূর্ণাঙ্গ করার মিশনে। দলীয় সূত্র জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে দলের নেতৃবৃন্দ কিছু কাজ সম্পন্ন করবেন। প্রাথমিক কার্যতালিকায় রয়েছে-দলীয় প্রতীক নির্ধারণ, গঠনতন্ত্র প্রণয়ন এবং দলের মূলনীতি ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য লেখা। প্রাথমিক কাজগুলো শেষ করে নির্বাচনের জন্য দলের প্রার্থী বাছাইয়ে মনোযোগ দেবেন তাঁরা। এর জন্য গঠন করা হবে সার্চ কমিটি। দলটির লক্ষ্য তরুণদের নেতৃত্বে ৩০০ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করা।
কেমন হবে নতুন দলের প্রার্থীদের বৈশিষ্ট্য-জানতে চাইলে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘এতদিন ধরে দেশে যে নির্বাচনব্যবস্থা চলে আসছে আমরা তার সংস্কার চাই। সংসদ সদস্যদের নিয়ে যে ধরনের চিত্র এতকাল দেখে এসেছি নতুন ব্যবস্থায় তা থাকবে না। এনসিপির প্রার্থী তালিকায় তারাই থাকবেন যারা সৎ হবেন, পেশিশক্তির প্রদর্শন করবেন না এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এতকাল আমরা দেখেছি সংসদ সদস্য মানেই হলো তিনি এলাকায় থাকেন না। শুধু ভোট এলে যেন অনুগ্রহ করে সামান্য সময়ের জন্য এলাকায় আসেন। আমাদের প্রার্থীরা হবেন এর ব্যতিক্রম। তিনি নিজ এলাকায় থাকবেন। রিকশা, বাসের মতো গণপরিবহনে চলাচল করবেন। জনগণের অভিযোগ এবং প্রত্যাশার কথা শুনবেন।’ গঠনতন্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দল গঠনের শুরু থেকেই গঠনতন্ত্র কেমন হবে, কী কী থাকবে তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। এখন শুধু নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে নিয়ে গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করার জন্য বৈঠকে বসা বাকি।’
এদিকে, দলীয় প্রতীক কী হবে সে আলোচনায় এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি নবগঠিত দলটি। প্রতীকের মধ্যে জনগণের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চান বলে জানান দলের নীতিনির্ধারকরা। প্রতীকে ফুটিয়ে তুলতে চান সংগ্রাম, উন্নয়ন ও ঐক্যের প্রতীকী চিত্র। দল নিয়ে ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক জনমত জরিপে পাওয়া প্রতীকগুলোর মধ্য থেকে যে কোনো একটি বেছে নেওয়া হবে। প্রস্তাবিত প্রতীকগুলোর মধ্যে রয়েছে মুষ্টিবদ্ধ হাত, বিভিন্ন জাতীয় প্রতীক, উদীয়মান সূর্য, কলম, বই, গাছ ইত্যাদি।