পঞ্চগড়ের পৃথক সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী নারী-শিশুসহ ১১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে। তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধীনায়ক রিয়াদ মুর্শেদ। শুক্রবার (১৬ মে) গভীর রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত তাদেরকে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের মালকাডাঙ্গা ও কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ডানাকাটা সীমান্ত এলাকায় পুশইন করা হয়। তাদেরকে বিজিবি আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বাগবাটী গ্রামের তাসলিমা খাতুন (৪০), কলারোয়া উপজেলার চিতলা গ্রামের মর্জিনা (৪০), নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শুক্র গ্রামের নীরুফা বেগম (৪০), যশোরের শার্শা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সাজিদা খাতুন (৪০), ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আটরশি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (৪০), একই গ্রামের ফাইজান শেখ (১০), নোয়াখালীর শ্যামবাগ উপজেলার ডোমনাকান্তি গ্রামের ওমর ফারুক (৩৭), নারায়নগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর গ্রামের মীম আক্তার (২২), সোনারগাঁও উপজেলার চৌরাপাড়া গ্রামের শাহনাজ (৩৪), নরসিংদীর মাদবদী উপজেলার বালাপুরেরচর গ্রামের তানিয়া (৩৫) ও খুলনার তেরখাদা উপজেলার বাউনডাংগা গ্রামের আলেয়া (৭০)।
সূত্র ও বিজিবি জানায়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদেরকে সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন করে। স্থানীয়রা তাদের সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে দেখে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেয়। পরে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে। এসময় তাদের বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবা বাদ করা হলে তারা জানান, দীর্ঘদিন যাবত ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে অবস্থান করে কাজ করে আসছিলেন তারা। গত ২ মে ভারতীয় পুলিশ তাদেরকে ভারতের বোম্বে থেকে আটক করে। ১৭ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাযতে রেখে বিমান যোগে বাংলাদেশী মোট ১২৫ জনকে শিলিগুড়ি বিমান বন্দরে পৌঁছে দেয়। পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের মধ্যে ১১ জনকে পঞ্চগড়ে পুশইন করে বলে জানা গেছে। এদিকে এ ঘটনায় বোদা থানায় হস্তান্তর করাসহ আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
নীলফামারী-৫৬ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধীনায়ক রিয়াদ মুর্শেদ বলেন, সীমান্ত রক্ষায় তৎপর রয়েছে বিজিবি। অনুপ্রবেশ ও সকল অপরাধ ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল