জয়া আহসান
জয়া আহসান। টেলিভিশন নাটকে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু। এখন এপার-ওপার দুই বাংলার চলচ্চিত্রে তিনি ব্যস্ত তারকা। তাঁর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ব্যাচেলর (২০০৪)। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে একাধিকবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। কলকাতার ছবিতে অভিনয় করে সেখানেও জনপ্রিয়তা লাভ এবং একাধিকবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
চঞ্চল চৌধুরী
নাটকের মানুষ চঞ্চল চৌধুরী এখন সিনেমার পর্দায়ই ভীষণ ব্যস্ত। এপার বাংলায় মনপুরা দিয়ে বড় পর্দার দর্শকমন জয়ের পর নিয়মিত ছবিতে অভিনয় করে পেয়েছেন সেরা নায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর ওপার বাংলায় মৃণাল সেনের বায়োপিকেও অভিনয় করে প্রশংসিত হন তিনি।
আরফান নিশো
ছোট পর্দার জনপ্রিয় নায়ক আফরান নিশো। ২০০৬ থেকে প্রায় ১৮ বছরে নিশোর টিভি নাটক, ওয়েব সিরিজ, টেলিফিল্ম ও ধারাবাহিক নাটকের সংখ্যা ৮০০রও বেশি। ২০২৩ সালে রায়হান রাফি তাঁকে নায়ক করে নির্মাণ করলেন সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’। ছবিটি দর্শকপ্রিয়তা পায় এবং প্রশংসিত হয় নিশোর অভিনয়। এ ঈদে মুক্তি পাচ্ছে নিশো অভিনীত ‘দাগি’ ছবিটি।
তিশা
নুসরাত ইমরোজ তিশা। টিভি নাটকের মাধ্যমে প্রশংসিত হন। পরে বড় পর্দায় অভিনয় শুরু করে সেখানেও সফল হন। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে- থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, টেলিভিশন, অস্তিত্ব, ডুব, মেন্টাল, হালদা প্রভৃতি। অস্তিত্ব চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
বাঁধন
আজমেরী হক বাঁধন, ২০০৬ সাল থেকে ছোট পর্দার নাটকে অভিনয় শুরু করেন। তাঁর অভিনীত রেহানা মরিয়ম নূর (২০২১) চলচ্চিত্রটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিতসহ তাঁর অভিনয় সমাদৃত হয়। বাঁধন অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো- নিঝুম অরণ্যে (২০১০), রেহানা মরিয়ম নূর (২০২১), হিন্দি সিনেমা ‘খুফিয়া’। এখনো তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। সর্বশেষ ‘গুটি’ সিনেমা দিয়ে তিনি আবার আলোচনায় আসেন।
সিয়াম
টিভি নাটক দিয়ে অভিনয় শুরু করা সিয়ামের চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে ২০১৭ সালে ব্যবসাসফল ‘পোড়ামন-২’ ছবি দিয়ে। তিনি ‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। সিয়াম ২০১২ সাল থেকে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করছেন।
মোশাররফ করিম
মোশাররফ করিম। টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা। এ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি টিভি নাটক, টেলিফিল্ম, ওয়েব সিরিজ ও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন। তৌকীর আহমেদের ‘জয়যাত্রা’ মোশাররফ করিম অভিনীত প্রথম সিনেমা। কলকাতায় ব্রাত্য বসুর ‘ডিকশনারি’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন এবং বড় পর্দায়ও সফল হয়েছেন তিনি।
জাকিয়া বারী মম
জাকিয়া বারী মম ২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার প্রতিযোগিতায় জেতার পর হুমায়ূন আহমেদের দারুচিনি দ্বীপ চলচ্চিত্রে জরি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর তিনি নাটকে অভিনয় করা শুরু করেন। পরে শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ সিনেমায় অভিনয় করেন।
২০১৮ সালে নাট্যনির্মাতা অরুণ চৌধুরীর প্রথম চলচ্চিত্র আলতা বানু-তে আলতা চরিত্রে অভিনয় করেন। একই বছর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত ‘দহন’ ছবিতে তাঁকে সাংবাদিক মায়া চরিত্রে দেখা যায়। ভৌতিক-থ্রিলার স্বপ্নের ঘর চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন তিনি।
বিপাশা হায়াত
বিপাশা হায়াত নব্বই দশকে টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করেন এবং জনপ্রিয় হন। তিনি দুটি মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন- আগুনের পরশমণি ও জয়যাত্রা। তাঁর প্রথম ছবি আগুনের পরশমণি পরিচালনা করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। আর জয়যাত্রার নির্মাতা হলেন তৌকীর আহমেদ। আগুনের পরশমণির জন্য সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার পান তিনি।
ফজলুর রহমান বাবু
ফজলুর রহমান বাবু। ইতোমধ্যে দুই হাজারের বেশি টিভি নাটক, টেলিফিল্ম, ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমার নাম- শঙ্খনাদ ২০০৪ সালে নির্মিত হয়। এরপর না বলো না, আহা, দারুচিনি দ্বীপ, স্বপ্ন ডানা, মনপুরা, অজ্ঞাতনামা, মেয়েটি এখন কোথায় যাবে, স্বপ্নজাল, ফাগুন হাওয়ায়, বিশ্বসুন্দরী, মিশন এক্সট্রিম, দুই দিনের দুনিয়া সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেছেন।