শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ৭ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে স্মারকলিপি প্রদান, আলোচনা সভাসহ নানা দৃশ্যমান কার্যক্রম করেছে সংগঠনটি। তবে শিক্ষার্থীদের অধিকার সংশ্লিষ্ট দাবি-দাওয়া আদায়ে ১০ বছর পরে এটিই প্রকাশ্য বিক্ষোভ মিছিল সংগঠনটির। ২০১৫ সালের পরে প্রকাশ্যে কোনো বিক্ষোভ মিছিলে দেখা যায়নি সংগঠনটিকে।
সোমবার (১৯ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় চবি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (চাকসু) থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এরপর মিছিলটি প্রশাসনিক ভবন হয়ে শহিদ মিনার অতিক্রম করে জিরো পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় ২ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলটিতে অংশ নেয় বলে জানা গেছে।
বিক্ষোভ মিছিলে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ‘শিবিরের অপর নাম, আদর্শের সংগ্রাম', 'এই ক্যাম্পাসের একক বীর, ইসলামী ছাত্রশিবির', ‘আমার তোমার অধিকার, চাকসু চাকসু’, ‘জনে জনে খবর দে, সেশন জটের কবর দে’, জুলাইয়ের প্রশাসন, দাও শতভাগ আবাসন’, ‘চবি শিবিরের কয় দফা, সাত দফা সাত দফা’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে সমাবেশে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, চবি শিবিরের সাত দফা শুধু আমাদের নয়, এগুলো প্রতিটি চবিয়ানের প্রাণের দাবি। এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম জুলাইয়ের সমর্থনে আসা প্রশাসন শিক্ষার্থীদের অধিকারগুলো পূরণ করবে, কিন্তু তারা কিছু কাজ করলেও অনেককিছুই পূরণ করেননি। আমরা এতদিন দেখেছি, এখন আর বসে থাকব না।
এ সময় তিনি চবি ছাত্রশিবিরের সাত দফা দাবি পেশ করেন।
দাবিগুলো হলো শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা প্রদান করতে হবে। সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে অনতিবিলম্বে সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার আধুনিকায়ন নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত ও নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচন দিতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কেন্দ্রীয় মসজিদ পুনর্নির্মাণ এবং আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থাপনাসমূহ সংস্কার করতে হবে।
এছাড়া জুলাই বিপ্লব ও ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অবৈধ নিয়োগের সাথে জড়িত সকলের বিচার এবং নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ