পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাবনাবাদ নদী পাড়ে বেড়িবাঁধ রক্ষায় দেওয়া জরুরি জিওব্যাগ ও টিউব। তাও আবার চার মাসের মাথায় বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ধস। ঢেউয়ের আঘাতে ব্যাগ ছিঁড়ে বের হয়ে গেছে বালু, আর বাঁধের স্লোপ দ্রুত ধসে পড়েছে। এমন অবস্থা হয়েছে উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের রাবনাবাদ নদী পাড়ের ৫৪/এ পোল্ডারের। এর আগে এটি রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে ১,১২০ মিটার জিও ব্যাগ ও জিও টিউব স্থাপন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এ প্রকল্পে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্কে বেড়ে গেছে। এখন আকাশে মেঘ দেখলেই আতকে উঠেন তারা। কারণ, এসব মানুষেরা স্বচক্ষে দেখেছেন বিভিন্ন সময়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা। তাদের আশঙ্কা, যেকোনো সময় মূল বাঁধটি ধসে গিয়ে প্লাবন হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দার জানান, প্রতিবছর বর্ষা আসলেই রাবনাবাদ নদীর ভাঙনে তারা আতঙ্কে থাকেন তারা। এছাড়া পূর্ণিমা, অমাবস্যা কিংবা অতিবৃষ্টি হলেই নদীপাড়ের এসব মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। অথচ দীর্ঘদিনেও এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হয়নি। তাদের দাবি সরকারি উদ্যোগে দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণের। তা না হলে পুরো যে কোনো সময় আশপাশের গ্রামগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
একই সাথে তারা অভিযোগ করেন রাবনাবাদ নদীতে বছরের পর বছর ড্রেজিংয়ের কারণে এখানে ভাঙন আরও বেড়েছে। ২০০৭ সালের সিডর, এরপর আইলা, মহাসেন, আম্পান তারা মোকাবেলা করেছেন। এছাড়া কয়েক দফা নদী ভাঙন তাদের গৃহহারা করে ফেলেছে রাবনাবাদ নদী পাড়ের বাসিন্দা জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, প্রায় চার মাস হয় বেড়িবাঁধ রক্ষায় জরুরিভাবে ‘জিওব্যাগ ও টিউব স্থাপন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরমধ্যেই রাবনাবাদ নদী ঢেউয়ের আঘাতে অনেকগুলো টিউব ছেঁড়া বের হয়ে গেছে বালু। বর্তমানে জোয়ারের উচ্চতা বেড়ে গেছে। এছাড়া পূর্ণিমা, অমাবস্যা কিংবা অতিবৃষ্টি হলেই এসব জিওব্যাগ ও টিউব আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মানের দাবি করেছেন তিনি।
পাউবো কলাপাড়ার উপসহকারী প্রকৌশলী বিদ্যা রতন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ওই স্পটটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। উত্তাল ঢেউয়ের কারণে প্রটেকশন দেওয়া হয়েছিল। মাটি সংকট ছিল, তাও অনেক দূর থেকে সংগ্রহ করতে হয়েছে। তবুও আমরা কাজটি সুন্দরভাবে করেছি।
বিডি প্রতিদিন/এএ