কয়েকদিন খরার পর সোমবার (১৯ মে) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বগুড়ায়। টানা তিন ঘণ্টা বৃষ্টির পানিতে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা, বাদুরতলা, স্টেশন সড়ক, সেউজগাড়ি পানির টাংকি এলাকা, সরকারি আজিজুল হক কলেজ চত্বর, খান্দার ও শেরপুর সড়কের কলোনী বাজার এলাকায় হাঁটু পানি জমে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে বিভিন্ন যানবাহনের চালক, শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা।
জানা যায়, বগুড়া শহরে প্রতিদিন লাখো মানুষের সমাগম হয়। প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা এলাকার মুক্তমঞ্চের সামনে, জিলা স্কুল প্রাচীর সংলগ্ন গাড়ি পার্কিং এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। পাকা রাস্তার পাশে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এমন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পৌরবাসী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, যানবাহনের চালক ও পথচারীরা। এসব সড়কের দুই পাশের নালার ময়লা-আবর্জনায় ভরা নোংরা পানি উপচে পড়ে সড়কে। সড়ক ছাপিয়ে সেই পানির ঢুকে পড়ে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও। বগুড়া শহরে বৃষ্টির পানি জমে দুর্ভোগের চিত্র দীর্ঘদিনের। বনানী থেকে মাটিডালি পর্যন্ত প্রধান সড়কের দুই পাশে পানি নিষ্কাশনের নালা অত্যন্ত সরু। এই নালা সারা বছর ময়লা-আবর্জনায় ভরে থাকে। সামান্য বৃষ্টিতেই নালার পানি উপচে সড়কে উঠে আসে। শহরের অন্য সড়কেও পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত নালা নেই। এছাড়া করতোয়া নদীর দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় শহর থেকে পানি বের হতে পারছে না। বর্ষার সময় সবচেয়ে করুণ চিত্র থাকে শহরজুড়ে।
পথচারী সাদেকুল ইসলাম বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই বগুড়া শহরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যায়। এতে করে আমাদের চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। সড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এমন অবস্থা।
এদিকে বগুড়ায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড বলে নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বগুড়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ আলম জানান, বগুড়ায় সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
তিনি আরও জানান, বৃষ্টির কারণে বগুড়ায় তাপমাত্রা কমেছে। ফলে ভ্যাপসা গরম দূর হয়েছে। আগামীকালও বগুড়ায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ