নীলফামারীর শালকি নদীর ওপর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের সামনে বাঁশ দিয়ে লাল কাপড় টাঙিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী। এতে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
এ ছাড়া এলাকার কৃষিপণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম এই ব্রিজটি।
ডোমার পৌরসভার চান্দিনাপাড়ার ১ নম্বর ওয়ার্ডে শালকী নদীর ওপর নির্মিত পুরাতন ব্রিজটি বর্ষায় মধ্যখানে পিলারসহ একাংশ দেবে যায়। এতে ভারী যানবাহন চলাচল করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েন ডোমার পৌরসভাসহ চিলাহাটি, আমবাড়ি, গোমনাতি ও বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের মানুষজন।
ডোমার পৌর এলাকার বাসিন্দা জাবেদুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজটির ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন পথচারীরা। ব্রিজটির নিচে গর্ত হয়ে প্রায় ৮ ফুট দেবে
গেছে। দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
চান্দিনাপাড়া গ্রামের রিফাত হাসান বলেন, দেবে যাওয়া ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া-আসা করছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের দাবি তাদের।
চাল ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ১০ মিনিটের রাস্তা ঘুরে আসতে সময় লাগে এক থেকে দেড়
ঘণ্টার মতো। এতে সময় ও অর্থের অপচয় হয়।
ডোমার উপজেলা প্রকৌশলী ফিরোজ আলম বলেন, উপজেলা ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়কে অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার ব্রিজের নতুন ডিপিপি দ্বিতীয় পর্যায়ের আওতায় প্রস্তাবিত ডোমার উপজেলার ২২টি ব্রিজের চাহিদা পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি