বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে ৫ শতাংশ বেড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার অন্যতম প্রধান দুটি তেল কোম্পানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এগুলো হলো- রসনেফট ও লুকঅয়েল। এর জেরেই এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৬৫ দশমিক ৭৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৫.২ শতাংশ বেড়ে ৬১.৫৩ ডলার হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমার শান্তি আলোচনা কোথাও এগোচ্ছে না, তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
বিশ্লেষকদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞা বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে, যার ফলে বাজারে তেলের দাম দ্রুত বেড়ে গেছে।
এদিকে রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার জেরে রুশ তেল কেনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাচ্ছে ভারত। শিল্প সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে ভারতই রুশ তেলের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক হয়ে ওঠে। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে দেশটি গড়ে দৈনিক প্রায় ১৭ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে।
তবে এই রুশ তেল ইস্যুই এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনায় বড় প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্কের অর্ধেকই এই তেল আমদানির জন্য আরোপ করেছেন।
সূত্র জানায়, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ রাশিয়া থেকে তেল আমদানি ‘বড় পরিসরে কমানো বা পুরোপুরি বন্ধ করার’ পরিকল্পনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেছেন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পুনর্বিন্যাস চলছে এবং রিলায়েন্স ভারত সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করবে। সূত্র: ফোর্বস, ব্যারন’স, আল-আহরাম, এএফপি
বিডি প্রতিদিন/একেএ