গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার যুগিরছিট এলাকায় ধানের খেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধে ছুরিকাঘাতে আহত নাজমুল (২২) নামে এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার (১০ মে) রাত ১১টার দিকে হত্যাকাণ্ডের জেরে অভিযুক্ত যুবক আল আমিন এবং তার দুই স্বজনের বাড়িতে উত্তেজিত জনতা আগুন দেয়। এতে ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ মে সকালে আল আমিন ও নাজমুলের মধ্যে ধানের জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। সেই বিরোধের জেরে ওই দিন রাতেই নাজমুলকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে আল আমিন। ছুরিকাঘাতে নাজমুলের পেটের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে নাজমুলের বাবা-মাকেও ছুরিকাঘাত করে আল আমিন।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত নাজমুলকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শুক্রবার দিবাগত রাতে নাজমুল মারা যান। শনিবার জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
দাফনের আগে জানাজায় উপস্থিত মুসল্লিদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বক্তৃতায় হত্যাকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে উত্তেজিত জনতা আল আমিন, তার চাচা বাবুল এবং স্বপন মিয়ার বসতবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তবে আগুন লাগানোর সময় ঘরে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে পুড়ে যায় ঘরের আসবাবপত্র ও মালামাল।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। আগুন লাগানোর বিষয়েও তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ