হঠাৎ ইতিহাসের ‘বৃহত্তম’ মাওবাদী নিধন অভিযান বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ছত্তীসগঢ়-তেলেঙ্গানা সীমান্তে কারেগুট্টা পাহাড়ে শীর্ষ মাওবাদী নেতাদের দমন অভিযান শুরু হয়েছিল। অভিযানকারী দলে ছিল ভারতীয় বিমান বাহিনীও।
তবে হঠাৎ করেই ২০ দিনের জন্য সেই অভিযান বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রশাসন। যদিও কেন এই অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে, তা নিয়ে সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। এ নিয়ে আগামী মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করার কথা সেন্ট্রাল রিজার্ভ ফোর্স এবং রাজ্য পুলিশের।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিশেষ সূত্রে খবর মিলেছিল কারেগুট্টা পাহাড়ে আত্মগোপন করে রয়েছেন শীর্ষ মাওবাদী নেতারা। তাদের ঢাল হয়ে রয়েছেন মাওবাদীদের সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র শাখা পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি (পিএলজিএ)। গত ২১ এপ্রিল সিআরপিএফ এবং রাজ্য পুলিশ অভিযান শুরু করে। দলে ছিলেন প্রায় ২৮ হাজার জওয়ান। তাদের উদ্দেশ্য ছিল পিএলজিএ দমন করা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতকে মাওবাদী-মুক্ত করা হবে। সেই প্রকল্পের অধীনেই কারেগুট্টা পাহাড় ঘিরে ফেলে অভিযানে নেমেছিল
যৌথ বাহিনী।
এই অভিযানে তিন জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আরও ছয়-সাত জন আহত হয়েছেন। অন্য দিকে, প্রায় ২০ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে প্রায় ৪০টি অস্ত্র, ২ টন বিস্ফোরক, ৪০০ আইইডিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সূত্র। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে ছত্তীসগড়েই ১৪৬ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে শুধু বস্তারেই ১২৯ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল