কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে প্রচ- গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে। জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের দুর্ভোগ চরমে। গরমে একটু স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে ডাবের দোকানে ভিড় বেড়েছে। তবে গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাবের দামও বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তিন-চার দিন আগেও রাজধানীতে ১০০ টাকায় মিলত ডাব। গরমে ডাবের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। দাম বাড়ায় বিপাকে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
গতকাল রাজধানীর খিলক্ষেত, জোয়ার সাহারা ও মহাখালী বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত তিন-চার দিনে ডাব আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। বড় আকারের ডাবের দাম বর্তমানে ১৮০-২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও এসব ডাব ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় পাওয়া যেত। ছোট আকারের ডাবও ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চার দিন আগেও ছোট আকারের এসব ডাব ১০০ থেকে ১৩০ টাকায় পাওয়া যেত।
বিক্রেতাদের দাবি, বরিশাল, পিরোজপুর, খুলনা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ময়মনসিংহ জেলা থেকে বেশি ডাব ঢাকায় আসে। পাইকারিতে দাম বাড়ায় খুচরায় প্রভাব পড়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে ১০০টি ডাবে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে গ্রাহকদের অভিযোগ, গরমের সুযোগ নিয়ে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন দোকানিরা।
খিলক্ষেত বাজারের ডাব বিক্রেতা হানিফ মাহমুদ বলেন, কয়েকদিন ধরেই ডাবের দাম বাড়তি। পাইকারিতে দাম বেশি হওয়ায় খুচরায় বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগের ১০০ পিস ডাব ৮ থেকে ৯ হাজার টাকায় পাওয়া যেত। বর্তমানে ১০০ ডাব কিনতে হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকায়। তাই আমাদের বাধ্য হয়ে বেশি দামে ডাব বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে ডাবের দাম বাড়লেও গরমের সঙ্গে সঙ্গে আগের তুলনায় ডাবের চাহিদা বেড়েছে। গরমে ক্রেতারা মিষ্টি পানির ডাব খোঁজে তবে এসব ডাব কম পাওয়া যায়। মহাখালী আইসিডিডিআরবির সামনে কথা হয় বেসরকারি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, যেভাবে গরম পড়ছে ডাব ছাড়া অন্যান্য পানীয় খেলে বেশি ক্ষতি হয়। তাই রাস্তায় বের হলে ডাব খাওয়ার চেষ্টা করি। তবে গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গত দুই দিন ধরে দেখলাম ডাবের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তিন দিন আগে একটা ছোট ডাব এখানে খেয়েছি ১৪০ টাকায়। আজ সে ডাব ২০০ টাকা দাম হাঁকাচ্ছে। ডাবের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন পাড়ামহল্লার মিলছে রসালো তালশাঁস। প্রতিটি কচি তাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। কোথাও আবার প্রতিটি তালশাঁস বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। এ ছাড়া অন্যান্য গ্রীষ্মকালীন ফল আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম ও আনারসের চাহিদাও বেড়েছে।