দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মারপিট ঘটনায় মো. সাহাজুল ইসলাম নামে এক প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের পূর্ব জয়দেবপুরের তাহেরগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার নিহতের বড় ছেলে মো. এস এম শিবলী সাদিক বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত সাহাজুল ইসলাম (৫৭) নবাবগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে এবং নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। এ ঘটনায় তার ছেলে মো. সায়েম সাদিক (২৭) আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আটক মোঃ রনি মিয়া (৩৫) নবাবগঞ্জের কুশদহ গ্রামের মোঃ রেজাউল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাহাজুল ইসলাম ২৫ এপ্রিল রাত পৌনে ৮টারদিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের তাহেরগঞ্জ বাজারে ছিল। এসময় মোঃ রনি মিয়া, তাহার স্ত্রী মোছাঃ নাজমিন নাহার (৩৫) এবং ছেলে মেস্তাহুলসহ সেখানে আসিয়া সাহাজুল ইসলামের কাছে পাওনা টাকা দাবি করে। এসময় ভিকটিম ও আসামিদের মধ্যে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তর্ক বিতর্ক হয়। তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে ভিকটিমকে ধাক্কাধাক্কি করে। উক্ত ঘটনার সংবাদে ভিকটিমের ছেলে শিবলী সাদিক এবং এস এম সাইহাম সাদিক ঘটনাস্থলে আসিলে তাদের সাথেও ধাক্কাধাক্কি হয়। এসময় আসামি রনি মিয়া দৌড়ে তার দোকানে গিয়ে এলোপাতাড়িভাবে সাহাজুল মাস্টার ও তার ছেলেদেরকে আঘাত ও মারপিট করে গুরুতর জখম করে। আঘাতে ঘটনাস্থলে সাহাজুল মাস্টার মাটিতে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন আসামী রনি মিয়াকে আটক করলেও অপর ২ জন আসামি কৌশলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আহত সাহাজুল মাস্টার ও তার ছেলে শিবলী সাদিক এস এম সাইহাম সাদিকদেরকে আহত অবস্থায় নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাহাজুল মাস্টারকে মৃত ঘোষণা করেন। সংবাদ পেয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম ও সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পূর্বে বিক্ষুব্ধ জনতা আটককৃত আসামি মোঃ রনি মিয়াকে মারধর করে। উক্ত আসামিকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ রনি মিয়াকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতার করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ