বাগেরহাটে সন্ত্রাসী হামলায় দৈনিক ভোরের চেতনার স্টাফ রিপোর্টার হায়াত উদ্দিন (৪২) নিহতের প্রতিবাদে গতকাল মানববন্ধন করেছেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা। বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে এ মানববন্ধনে হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানানো হয়। সন্দেহভাজন একজনের বাড়ি থেকে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা, হাতুড়ি ও রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার করেছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সন্ধ্যায় লাশ আনা হয় বাগেরহাটে। হাড়িখালী স্কুলমাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় হায়াত উদ্দিনের লাশ। হায়াত উদ্দিন বাগেরহাট পৌর বিএনপির সদস্য ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত এ খুনের ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
মানববন্ধনে বক্তারা দলমত না দেখে দ্রুত ঘাতকদের আটক করতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান। বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান, শহরের হাড়িখালী এলাকায় ইসরাফিল মোল্লা নামে একজনের বাড়ি হায়াত উদ্দিন হত্যায় ব্যবহৃত দা, হাতুড়ি ও তার রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া কয়েকজনের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের আটকে পুলিশের একাধিক ইউনিট কাজ করছে। লেখালেখি, দলীয় কোন্দল নাকি এলাকায় অধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাগেহাট শহরের হাড়িখালী এলাকায় নিজ বাড়ির কাছে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক হায়াতকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হায়াত হাড়িখালী এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে।