দেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়তে থাকার সাথে সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশে ২১৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে, পাশাপাশি অর্ধ লক্ষাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা হঠাৎ কমে যেতে পারে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্লাটিলেট কমে গেলে ইন্টারনাল ব্লিডিংসহ বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে।
প্লাটিলেট হলো রক্তের এমন একটি উপাদান যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং স্বাভাবিক রক্তপাত রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্বাভাবিক প্রতি মাইক্রোলিটার রক্তে ১.৫ লাখ থেকে ৪.৫ লাখ প্লাটিলেট থাকা উচিত।
রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কয়েকটি ফল অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এই ফলগুলো বাজারে সহজলভ্য এবং নিয়মিত গ্রহণ করলে প্লাটিলেটের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে।
আমলকি:
আমলকি ভিটামিন সি-র উৎকৃষ্ট উৎস। এটি প্লাটিলেট কোষকে শক্তিশালী করে এবং সংক্রমণ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। এর ফলে প্লাটিলেট ধ্বংসের হার কমে যায় এবং রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
পেঁপে:
পেঁপে প্লাটিলেট তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। পেঁপে পাতার রস অস্থিমজ্জাকে সক্রিয় করে নতুন প্লাটিলেট উৎপাদনে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্ত পরিষ্কার রাখতেও সহায়তা করে।
ডালিম:
ডালিমে প্রচুর আয়রন ও ফোলেট রয়েছে যা অস্থিমজ্জাকে নতুন রক্তকোষ ও প্লাটিলেট তৈরিতে সহায়তা করে। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান প্লাটিলেটকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
এই ফলগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে ডেঙ্গুসহ অন্যান্য ভাইরাসজনিত রোগের সময় রক্তে প্লাটিলেটের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখা সহজ হবে। তবে প্রত্যেকের শরীরের অবস্থা আলাদা হওয়ায় প্লাটিলেট কমে গেলে শুধু ফলের ওপর নির্ভর না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বিডি প্রতিদিন/মুসা