চুয়াডাঙ্গায় কৃষি জমির উর্বরাশক্তি ফিরিয়ে আনতে দিনদিন জনপ্রিয় হচ্ছে জৈব সার। ফলে জেলায় গড়ে উঠছে একের পর এক জৈব সার কারখানা। আর এ সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এখানকার উদ্যোক্তারা। বিশেষ করে ভার্মি কম্পোস্ট বদলে দিচ্ছে এ এলাকার উদ্যোক্তা ও কৃষকের জীবন। জেলায় কৃষি জমির স্বাস্থ্য উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা রাখছে জৈব সার।
স্থানীয়রা জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের ইরফান বিশ্বাস ও আমিরপুর গ্রামের টিপু সুলতান ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন করে ভাগ্য বদলেছেন। কয়েক বছরের চেষ্টায় তারা অর্থনৈতিক সচ্ছলতাও পেয়েছেন। তাদের দেখাদেখি আরও তরুণ উদ্যোক্তা এগিয়ে আসছেন এ পেশায়। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানও হচ্ছে কয়েক শ মানুষের। তরুণ উদ্যোক্তারা জানান, ভার্মি কম্পোস্ট, ট্রাইকো কম্পোস্ট, জৈব সার উৎপাদন করে তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন। পাশাপাশি এ সার জেলার কৃষি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি ও মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এতে মানুষের স্বাস্থ্যসুরক্ষাও হচ্ছে। ভার্মি কম্পোস্ট ও জৈব সার উৎপাদন সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন- পিকেএসএফ ও উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন। জেলার ১৫ উদ্যোক্তাকে কারিগরি, যান্ত্রিক ও আর্থিক সহযোগিতা করছে এসব প্রতিষ্ঠান। জেলার এসব উদ্যোক্তা মাসে প্রায় আড়াই হাজার টন জৈব সার উৎপাদন করছে। যার বাজার মূল্য অন্তত দেড় কোটি টাকা। উদ্যোক্তা টিপু সুলতান বলেন, এ সার যেসব কৃষক ব্যবহার করছেন তারাও কম খরচে চাষাবাদ করতে পারছে।
ওয়েভ ফাউন্ডশনের সহকারী পরিচালক নির্মল দাস বলেন, এ অঞ্চলে কৃষিবিপ্লব ঘটাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার উদ্যোক্তারা ভার্মি কম্পোস্ট বা জৈব সার উৎপাদন করছে।
এতে তাদের প্রতিষ্ঠান সহযোগী হতে পেরে গর্বিত। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় জৈব সারের ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে ভার্মি কম্পোস্ট মাঠের কৃষি ও ছাদ কৃষিতে অনন্য অবদান রাখছে।