পঞ্চগড় সদর উপজেলার মসজিদ থেকে মাইকে উচ্চৈঃস্বরে সাহরির আহ্বান জানানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার বিকালে উপজেলার তেলিপাড়া নেছারিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় ঘটনাটি ঘটে। এতে দুই পক্ষের ২৯ জন আহত হয়েছেন। দুই পক্ষই গতকাল থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, তেলিপাড়া নেছারিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার মসজিদের মাইকে সাহরি খাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। উচ্চৈঃস্বরে ডাকাডাকি নিয়ে প্রতিবেশী কায়েদে আজমের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন প্রতিবাদ করেন। শনিবার বিকালে বাজার করে ফেরার পথে মাদরাসা শিক্ষক আরিফ হাসান ও মুহতাসিম বিল্লাহর কাছে কায়েদে আজম ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মাইকিংয়ের ব্যাপারে জানতে চান। এ সময় বাগ্বিতন্ডার একপর্যায়ে উভয়ের হাতাহাতি শুরু হয়। খবর পেয়ে মাদরাসার অন্য শিক্ষক ও ছাত্ররা ছুটে এলে ওই দম্পতি ও তাদের স্বজনরা তাদেরও মারধর করে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
শিক্ষক মুহতাসিম বিল্লাহ বলেন, সাহরিতে মাইকিং করাকে কেন্দ্র করে আমাদের কয়েকজনকে মারধর করে তারা। অভিযোগ অস্বীকার করে কায়েদে আজম বলেন, মাইকে ডাকাডাকিকে কেন্দ্র করে ওরা আমার স্ত্রীর নামে এলাকায় আজেবাজে কথা ছড়িয়েছে। আমাদের বাড়ির দিকে মাইক ঘুরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা হামলা চালায়। সদর থানার ওসি আবদুুলাহ হিল জামান বলেন, সাহরিতে ডাকাডাকি ও পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জেনেছি। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মামলা করেছেন। তাদের মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। অপর পক্ষের মামলাটি তদন্ত করে নথিভুক্ত করা হবে। তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।