শ্রম খাত ও শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন সহজিকরণ এবং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে।
সোমবার উপদেষ্টার সঙ্গে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর এইচ.ই ড. আবদেলওয়াহাব সাইদানি সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে আইএলও (অন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি রাষ্ট্রের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছে। সরকার ত্রিপক্ষীয় পরামর্শমূলক কাউন্সিল (টিসিসি) এবং আরএমজি সঙ্গে জাতীয় এবং সেক্টরাল পর্যায়ে ত্রিপক্ষীয় সামাজিক সংলাপ প্ল্যাটফর্মগুলোকে পুনরুজ্জীবনে কাজ করছে।
এছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে চা শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি, বসবাসের উন্নত পরিবেশ, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার সুযোগসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। তিনি জানান, চা বাগানগুলোর শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শ্রম সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছে। শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, যা শ্রম অধিকার, নীতি ও প্রশিক্ষণে সহায়তা করবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, শ্রমিকদের অভিযোগ নিষ্পত্তিতে হটলাইন চালু করা হয়েছে। এছাড়া শ্রম অধিদপ্তর ও কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের সেবাগুলো অনলাইনে পাওয়া যাবে।
সাক্ষাৎকালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধনে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান ও আইএলও রোডম্যাপ, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন, নারী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধে ব্যবস্থা, চা শিল্প পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন তারা।
এ সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ