ইউরোপের দেশগুলোতে অভিবাসনবিরোধী অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ ক্রমাগত বাড়ার তথ্য দিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের অভিবাসন ও সুরক্ষাবিষয়ক পরিচালক মিশায়েল শটার। উল্লেখযোগ্য সংখায় বাংলাদেশি নাগরিকদের তার ইউনিয়নভুক্ত দেশে অবৈধ অভিবাসন বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গতকাল সচিবালয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
অবৈধ অভিবাসন রোধে কাজ করতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান ইউরোপীয় কমিশনের এই কর্মকর্তা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সে সময় সীমান্ত সুরক্ষা ও অবৈধ অভিবাসন রোধে ইইউর সহযোগিতা প্রত্যাশা করলে বিষয়টি নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আশ্বাসও দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সাক্ষাতে অভিবাসন ছাড়াও মানব পাচার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংস্কার ও সীমান্ত সুরক্ষা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের উন্নয়ন অংশীদার ও পরীক্ষিত বন্ধু। আমাদের শ্রমশক্তির একটি বিশাল অংশ ইইউভুক্ত দেশে কাজ করছে। আমরা সবসময় বৈধভাবে দক্ষ ও স্বল্পদক্ষ শ্রমিক পাঠাতে চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ, স্বল্প দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক নেওয়ার জন্য তিনি মিশায়েল শটারকে অনুরোধ জানান।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ মানব পাচার রোধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আছে। অবৈধ অভিবাসন, মানব পাচার এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে বাংলাদেশ কাজ করছে। ইতোমধ্যে মানব পাচার সিন্ডিকেটের কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। মানব পাচারসংক্রান্ত আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হচ্ছে। পুলিশ সংস্কারের কাজও চলমান। সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন।