রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড নিয়ে হাজির হয়েছে। তারা সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটকে ড্রোন শাখায় পরিণত করেছে। এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধের রূপরেখা পাল্টে দিতে চলেছে বলে দাবি করছে রাশিয়া।
আরটির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড্রোনগুলো কেবল যুদ্ধক্ষেত্রের রূপরেখা বদলে দেয়নি, সাথে আধুনিক যুদ্ধের নিয়মেও এনেছে বিস্তর পরিবর্তন। সেই কারণেই রাশিয়া মানববিহীন শাখা তৈরির সিদ্ধান্তকে অনেকে সময়ের দাবি বলে মনে করছেন।
মানববিহীন এই ইউনিট একাধিক ফ্রন্টে কাজ করছে। ড্রোনগুলো স্বাধীনভাবে যেমন আক্রমণ করছে, তেমন সেনাবাজহিনীর সহায়ক হিসেবেও কাজ করছে। ইঞ্জিনিয়ারিং, রাসায়নিক প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ এবং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের মতো অন্যান্য বিশেষায়িত ইউনিটের মতোই ড্রোন বাহিনীও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন এখন একটি নতুন শাখা তৈরি করা হলো? কারণ, ড্রোনগুলি ইতোমধ্যেই ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যুদ্ধকালীন অপারেশনগুলোতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। অপারেশনাল পর্যায়ে এগুলোর প্রভাব আরও স্পষ্ট, মানববিহীন সিস্টেমের আধিপত্যপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে আক্রমণের জন্য সেনা সমাবেশ করা অত্যন্ত কঠিন। আক্রমণ করার প্রস্তুতি নেওয়া বিশাল সাঁজোয়া ইউনিটগুলি শত্রুর কাছে সহজেই শনাক্তযোগ্য ও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। সামরিক হার্ডওয়্যারগুলোকেও এই প্রতিক্রিয়ায় বিকশিত হতে হবে, কারণ বেশিরভাগ ঐতিহ্যবাহী সামরিক সরঞ্জাম ড্রোন-সক্রিয় অঞ্চলে টিকে থাকতে পারে না।
এছাড়াও যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে ওঠা ড্রোন অপারেটরদের সঠিক সাংগঠনিক কাঠামো ও পদমর্যাদাও ছিলো না। মানববিহীন সিস্টেমে বিশেষজ্ঞ কর্মীদের প্রায়শই খালি জায়গায় নিযুক্ত করা হত। এতে প্রশিক্ষণ, সমন্বয় এবং কর্মজীবনের অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া স্বাভাবিক।
ফলে রাশিয়ার এই পদক্ষেপ যুদ্ধের দুনিয়াতেই ড্রোন ইউনিটকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: আরটি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল