মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কুন্দুরিয়া এলাকার আক্তার হোসেনের ঢেঁকিছাঁটা চাল সারা দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। অধিক পুষ্টিকর ও ভেজালমুক্ত হওয়ার কারণে দিন দিন এ চালের চাহিদা বেড়েই চলছে। জেলার গণ্ডি পেরিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে চাল চলে যাচ্ছে ঢাকা, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, সাতক্ষীরাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
মিলের শ্রমিক মনোয়ারা বেগম জানান, মালিক খুব পরিশ্রমী। সে জেলা পরিষদের গাড়ি চালক। বছর খানেক আগে বাড়িতে ঢেঁকিছাঁটা মিলটি করেন। দিনদিন চাহিদা বাড়ার কারণে আরও ঢেঁকি বসানোর চেষ্টা করছে।
আক্তার হোসেন বলেন, প্রতিদিন চার মণ ধান ভাঙানো হয়। প্রতিকেজি চাল বিক্রি হয় একশত টকা করে। মাত্র দুজন কর্মচারী
দিয়েই তার ব্যাবসা চলছে। মাত্র দুটি ঢেঁকি ও একটি মোটর দিয়েই চলছে এ ব্যাবসা।
তিনি আরও বলেন, অসুস্থ হওয়ার কারণে ডাক্তার তাকে আমন ধানের লাল চালের ভাত খেতে বলেন। কিছু দিন তিনি বাজার থেকে কিনে খেতেন। কিন্তু বাজারের চাউলে রং মেশানো থাকে। গত বছর তিনি নিজে খাবারের জন্য দুটি ঢেঁকি দিয়ে কাজ শুরু করেন।
আক্তার হোসেন জানান, অল্প কিছুদিনের মধ্যে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হওয়ায় চাল বিক্রি করেন। এখন উৎপাদনের তুলনায় চাউলের চাহিদা অনেক বেশি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আরও কিছু ঢেকিঁ প্রয়োজন। তবে মূলধনের কারণে সেটা হচ্ছে না।
এছাড়াও স্বল্প সুদে ঋণ পেলে মিলটি বড় করার ইচ্ছা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া