কুমিল্লার দেবিদ্বারে পেঁয়াজ চাষের হার কমে যাওয়ায় হারিয়ে যেতে বসা ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক বীজ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে উপজেলা পরিষদ।
মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রশাসক রাকিবুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এ বছর উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ৪০০ জন কৃষককে ব্রি ধান ১০২ ও ব্রি ধান ১০৪ জাতের ৫ কেজি করে ধান বীজ, ৫০০ জন কৃষক-কৃষাণীকে লাউ ৩ গ্রাম, ধুন্দল ৩ গ্রাম, লালশাক ৫০ গ্রাম, ডাটা ২০ গ্রাম ও ধনিয়া ৫০ গ্রাম করে সবজি বীজ, ১৮০ জন কৃষককে পেঁয়াজ বীজ ও ৪৫০ জন কৃষকের মাঝে সরিষা বীজ বিতরণ করা হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন, দেবিদ্বারের কৃষকদের নিজের পেঁয়াজ নিজে চাষ করার ঐতিহ্য ছিল। আমরা সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই। খরিপ মৌসুমে সবজির দাম বেশি থাকায় কৃষকদের পুষ্টি চাহিদার কথা চিন্তা করে সবজির বীজ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ধানের জাত হিসাবে ব্রি ধান ১০২ জিংক সমৃদ্ধ ও ব্রি ধান১০৪ প্রিমিয়াম মানের উফশী জাত। দুটি জাতই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ উদ্ভাবিত ও কৃষক চাইলে বীজ রাখতে পারবে। তাছাড়া বর্তমান সময়টা সরিষা চাষের উৎকৃষ্ট সময় যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এই উদ্যোগ কৃষকদের বেশ কাজে আসবে বলে আমরা মনে করি। এর পরেও যদি কোন কৃষকের কোন বীজের চাহিদা থাকে, যোগাযোগ করলে আমরা বীজের ব্যবস্থা করতে চেষ্টা করব।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি প্রণোদনার বরাদ্দ কম থাকায় ও কৃষক পর্যায়ে চাহিদা থাকায় বীজ বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উপসহকারি কৃষি অফিসারদের সহযোগিতা নিয়ে কৃষকেরা বীজ গুলো কাজে লাগাবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। আমরা কৃষকের মনিটরিং করবো এবং সফলতা দেখতে চাই। তাছাড়া দেবিদ্বারের কৃষির উন্নয়নে আরো কিছু পরিকল্পনা আমাদের পাইপলাইনে আছে। সব ঠিক থাকলে এই মৌসুমে দেবিদ্বারের কৃষি নতুন মাত্রা পাবে বলে প্রত্যাশা রাখি।’
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক