সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’ আগামী ৫ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। গতকাল গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। ফারুকী বলেন, গণভবন একটা ক্রাইম জোন। এখান থেকেই হত্যা, গুম-খুনের পরিকল্পনা করা হয়। ভবনটিকে এমনভাবে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হবে, যাতে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বাস্তবচিত্র ফুটে ওঠে। তিনি বলেন, কেন জুলাই হলো, তার দালিলিক প্রমাণ স্থান পাবে জাদুঘরে। গণভবনে জুলাই জাদুঘর তৈরি করলেও গণহত্যার প্রমাণ মুছবে না। তদন্ত সংস্থাকে মূল উপাদানগুলো জমা দেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা জানান, জাদুঘরে জনগণ শেখ হাসিনার শাসনামলের অপরাধ ও নির্যাতনের ‘আজীবনের বিচার’ করবে।
উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রতিটি নারীকে খুঁজে পেতে কাজ শুরু করেছে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তাদের অবদান ও নাম তালিকাভুক্ত করবে সরকার। এ ছাড়া দেশের ৬৪ জেলায় ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণের কাজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে, যা ৪ আগস্টের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হবে। তিনি বলেন, জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্ট গণভবনে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলেও দর্শনার্থীদের পরিদর্শনের জন্য আরও সময় লাগবে।