গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা পেতে হলে দ্রুত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিএনপি বহুমত, পথ ও দলের বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে বারবার অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। বহুমাত্রিকতা বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ। বারবার অবৈধ স্বৈরাচারী গোষ্ঠীর শক্ত শৃঙ্খল ভেঙে গণতন্ত্র মুক্ত করেছে বিএনপি। যেমনটি করেছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক এবং আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। বাতিল করেছিলেন বাকশালি আমলের সব কালাকানুন। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন এক বিষাদঘন কালিমালিপ্ত দিন। এদিনে তৎকালীন একদলীয় বাকশাল সরকার নাৎসি কায়দায় তাদের অনুগত চারটি সংবাদপত্র অনুমতি দিয়ে অন্য সব পত্রিকা বন্ধ করে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদকর্মীকে বেকার করে হতাশার অতল গহ্বরে ঠেলে দিয়েছিল। বাকশালের পথ ধরে ডামি আওয়ামী সরকার পুরোনো বাকশালের পুনরুত্থান ঘটিয়ে বিগত ১৫ বছর সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর দমনপীড়ন চরম মাত্রায় নামিয়ে এনেছিল। নানান কালাকানুনের মাধ্যমে সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার টুঁটি চেপে ধরা হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল দিনকাল, আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, চ্যানেল-১ টিভিসহ অসংখ্য গণমাধ্যম।
মির্জা ফখরুল বলেন, সত্য প্রকাশে খুনের শিকার হয়েছেন অর্ধশতাধিক সাংবাদিক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানান মামলায় গ্রেপ্তার ও হয়রানির শিকার হয়েছেন বহু সাংবাদিক, শিক্ষক, পেশাজীবী, এমনকি শিশু শিক্ষার্থীরাও। মন্ত্রী-এমপিদের এবং ক্ষমতাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমালোচনা করলেই সাংবাদিকদের হয়রানি ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হতো। ’৭৫-এর এই দিনের বিভীষিকা এখন ভিন্ন মাত্রায় আরও ভয়ংকর হিংস্ররূপে আত্মপ্রকাশ করেছিল। কিন্তু বিগত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর মানুষ তাদের বাকস্বাধীনতা কিছুটা হলেও ফিরে পেয়েছে।