বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পদ্মাসহ অন্যান্য নদীর পানির ন্যায্য হিস্সা আদায়ে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে যাবে বিএনপি। তবু দেশের প্রাপ্য পানির ন্যায্য হিস্সা আদায় করা হবে ইনশাআল্লাহ। গতকাল বিকালে রাজশাহী নগরীর মাদরাসা মাঠসংলগ্ন ঈদগাহ রোডে রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, জনরোষে স্বৈরাচার পালিয়েছে। এখন মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা। আগামী জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার বাস্তবায়ন হবে। দেশের জনগণ বিএনপির ওপরই আস্থা রাখতে চায়। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ শিগগিরই আপনাদের সঙ্গে সরাসরি দেখা হবে।’ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম ও মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক শফিকুল হক মিলনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
তারেক রহমান বলেন, পতিত সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা, বিচারব্যবস্থা, অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতসহ সব কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই বিএনপি নির্বাচিত হলে চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশ গড়ে তুলবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি করা হয়েছিল। এ দেশের মানুষের অর্থসম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। তারেক রহমান বলেন, ‘এই স্বৈরাচার ১৭ বছরের বেশি সময় আগে দেশের ক্ষমতা দখল করেছিল। এরপরে আমরা দেখেছি, কীভাবে একে একে তারা গুম, খুন, হত্যার রাজনীতি শুরু করেছিল। তারা যে কোনো বিরোধী মতের মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। আমি নিশ্চিত এই সম্মেলনে আজকে যারা উপস্থিত আছেন- তারা স্বৈরাচারের সময়ে মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়েছেন।’ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি সেই সময়ে বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে কীভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’ বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি সেই রাজনীতিকরণের মধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে কীভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এ দেশের মানুষের অর্থসম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার সেই পথে (নির্বাচন) ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা কিছুদিন আগে সরকারের পক্ষ থেকে শুনেছি, ঘোষণা করা হয়েছে রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের অধিকারের প্রথম পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হবে।’ তারেক রহমান বলেন, ক্ষমতায় এসে দেশ-বিদেশে দক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার আলো শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে। তাদের ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তুলতে হবে।