কোনও প্রার্থী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে ভোটের পরেও তা তদন্ত করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে সত্যতা না মিললে বাতিল হবে প্রার্থিতা, চলে যাবে সংসদ সদস্য (এমপি) পদ।
সোমবার কমিশন সভা শেষে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, হলফনামায় যদি কেউ মিথ্যাচার করে, হলফনামায় যদি মিথ্যা তথ্য দেয়, তাহলে সেটার ব্যাপারে তদন্ত করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আরও সুনির্দিষ্টভাবে বিধান আরপিওতে সন্নিবেশ করা হয়েছে। এ সময়কালটা হবে যে অফিসের জন্য উনি নির্বাচনটা করছেন সেই অফিসের মেয়াদকাল (এমপি পদের মেয়াদ) পর্যন্ত। এরপরে স্বাভাবিকভাবে ফৌজদারি মামলা অন্যভাবে হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যে অফিসের জন্য অর্থাৎ যে ডিউরেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এমপি নির্বাচিত হলেন এ অফিসের জন্যই তো নির্বাচনটা করেছেন। এ অফিসের নির্বাচনের জন্যই তিনি হলফনামাটা দিয়েছেন। সুতরাং এ সময়কালে যদি হলফনামায় কোনও ধরনের অত্যুক্তি, বিচ্যুতি, মিথ্যা তথ্য যদি হয়; তাহলে তদন্ত করে রিকল করে প্রয়োজনে তার ক্যান্ডিডেচার ক্যান্সেল (প্রার্থিতা বাতিল) করা হবে। নির্বাচিত এমপিও হতে পারেন, আইনের আওতায় আসতে পারেন এবং তার পদ চলে যেতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ