দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য জরুরি ভিত্তিতে জটিল নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, একটি রেস্টুরেন্ট চালু করতে ১৯টি অনুমতি নিতে হয়। এ ধরনের জটিলতা থাকলে এ দেশে বিনিয়োগ করবে কে? বিনিয়োগকারী কখনো উৎসাহিত হবে না।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৩৬৫ দিন : অর্থনীতির পুনর্মূল্যায়ন’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ধারাবাহিক অর্থনৈতিক মুক্তকরণ ছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়বে না, অর্থনীতিও চাঙা হবে না।
সরকারের অনেক দায়িত্ব বেসরকারি খাতকে দিতে হবে। ট্রেড বডিগুলোকে আরও ক্ষমতায়ন করে সরকারকে নির্ভরশীল করতে হবে। যত বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে, দুর্নীতি তত বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি খুবই নাজুক। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বিনিয়োগ কম হওয়ার জন্য তাদের দোষ নেই; কারণ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের দুর্বল করে তোলে। তবে প্রশাসনিক জটিলতা দূর করাই এখন বড় পদক্ষেপ।
রাজনৈতিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে যেসব দেশ দ্রুত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরেছে, সেখানে দ্রুত স্থিতিশীলতা এসেছে। চাপিয়ে দেওয়া পরিবর্তন টেকসই হয় না। গণতন্ত্র মানে অন্যের মতামত শোনা এবং সম্মান করা। রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন ছাড়া কাক্সিক্ষত সংস্কার সম্ভব নয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে আমীর খসরু বলেন, ফ্যাসিবাদের বাজেট চালিয়ে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল নিজস্ব বাজেট গ্রহণ করা। দেশের অর্থনীতিকে গণতান্ত্রিক করতে হবে। এজন্য সর্বস্তরের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।