গবেষকদের ওপর আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের (সাউরেস) বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসাইন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল বাশার প্রমুখ। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কম সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও নীরবে নিভৃতে গবেষণা করে যাচ্ছেন। গবেষকদের ওপর আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ দুঃখজনক। দেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা হচ্ছে কৃষিতে। এর আগে কোনো সরকার এত অল্প সময়ের মধ্যে অর্ধশতাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসক নিয়োগ করতে পারেনি। এবারের নিয়োগে কোনো দলমত দেখা হয়নি। এই প্রথমবারের মতো তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে গ্রহণযোগ্যতা ও একাডেমিক প্রোফাইল দেখে। গবেষণার যোগ্যতারভিত্তিতে শিক্ষকদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। অনেকেই প্রশ্ন করেন, এবারও বাজেট গতানুগতিক হচ্ছে কেন, শিক্ষা ও গবেষণায় বাজেট কম কেন। বাজেট গতানুগতিক ধারায় করতে বাধ্য হচ্ছি, কারণ চলমান প্রকল্পগুলো বন্ধ করে নতুন শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন বাজেট দেওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সেই প্রকল্পগুলো শেষ হলে অন্তত দুই বছর পর নতুন ধারায় বাজেট প্রণয়ন করা সম্ভব।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ বলেন, আমাদের শিক্ষকরা নিয়মিতভাবে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ সংকুলান হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠটি আমাদেরই ছিল। সেটি আবার ফেরত পেলে গবেষণা কার্যক্রম বিস্তৃত হতো।