বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, চা-শ্রমিকদের শিক্ষিত করে আধুনিক বাগান ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত করার চিন্তা আমাদের রয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে আমরা কাউকে বিবেচনা করি না। আমরা বন্ধুপ্রতিম সমাজ গড়তে চাই। চা-শ্রমিকদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনার ডাক দিতে সময় লাগবে; কিন্তু আমাদের পৌঁছাতে সময় লাগবে না। আমরা সবাই এ দেশের মালিক। জেলার কুলাউড়ায় গতকাল আয়োজিত চা-শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন এবং তাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জামায়াত আমির বলেন, এ দেশে সব নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে। চা-শ্রমিকদের দায়িত্বও সরকারকে অন্য নাগরিকদের মতো সমানভাবে নিতে হবে। তারা এখনো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমরা যদি জনগণের ভোটে দায়িত্ব পাই, তাহলে তাদের সম্মানের সঙ্গে বসবাস নিশ্চিত করব। তাদের সন্তানদের প্রতিভার বিকাশে পাশে থাকব। প্রধান উপদেষ্টার কাছে জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সব ধরনের প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এমন একটি নির্বাচন হবে, যেখানে ইতিহাস তৈরি হবে। প্রত্যেকটি মানুষ হাসিমুখে ভোট দিয়ে বের হবে। কেউ গিয়ে দেখবে না যে একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে এসেছে। বৈঠকে জামায়াতের পক্ষ থেকে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ভারতকে মানবিক করিডর না দেওয়ার বিষয়ে আমাদের অবস্থান সরকারকে জানানো হয়েছে। উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক আবদুল মুস্তাজিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগরীর আমির মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমির প্রকৌশলী এম. সায়েদ আলী, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ ইয়ামীর আলী, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির খন্দকার আবদুস সোবহান ও প্রভাষক হামিদ খান, বর্তমান সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরী, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন প্রমুখ। চা-শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ছাড়াও ডা. শফিকুর রহমান দিনব্যাপী বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন।