যেভাবে পরিস্থিতি চলছে, তা অব্যাহত থাকলে আগামী এক-দুই মাসের মধ্যেই দেশের ৫০ শতাংশ টেক্সটাইল ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর সহসভাপতি সালেউদ জামান খান।
রবিবার (২৫ মে) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার বলে দিচ্ছে ৭ তারিখের মধ্যে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দিতে হবে। না হলে অ্যাকশনে যাবে। তাহলে একজন শিল্প মালিক যদি তার শ্রমিক কাজ নাও করেন প্রতি মাসে ১৫ কোটি টাকা দিতে হয়। তাহলে আমার মতো ফ্যাক্টরির মালিক কোথা থেকে দেবেন। আমার ফ্যাক্টরি গত ৫ থেকে ৬ মাস যাবৎ শ্রমিকদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিচ্ছি। গ্যাস কোম্পানিগুলো গ্যাস সাপ্লাই না করে বিল নিচ্ছে। আমার মতো ফ্যাক্টরিতে ১০ কোটি টাকা গ্যাস বিল দিতে হচ্ছে গ্যাস ব্যবহার না করে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গ্যাস না পেয়ে বিদ্যুৎ লাইন, আরইবির লাইন আমি সংস্থান করলাম। সেখানে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বর্তমানে ৭ ঘণ্টা। একটা ফ্যাক্টরিতে প্রতিদিন ৬ থেকে ৫ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। তাহলে আপনাদের মাধ্যমে আমরা জানতে চাই কীভাবে বাংলাদেশের শিল্প ও মালিকরা টিকে থাকবেন। আপনার কাছে যদি টাকা থাকে হয়তো বাপের জায়গা বিক্রি করে ভবিষ্যতে ব্যবসায়ী হতে পারবেন। কিন্তু আজকে যে শিল্প-মালিকগণ মারা যাবে। বাংলাদেশে শিল্প-মালিক উদ্যোক্তা কিন্তু আর হবে না। এটা হারিয়ে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সভাপতি একটা কথা বলেছেন ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবীদের খুঁজে খুঁজে মারা হয়েছে দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্য। আর আজকে আমাদের যারা শিল্প উদ্যোক্তাদের গত ২০ বছরে বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পার করে আজকে বাংলাদেশের শ্রমিকদের, বাংলাদেশের জিডিপিতে আবদান রাখছে, তাদের আজকে মারার জন্য গ্যাসের সাপ্লাই, বিদ্যুতের সাপ্লাই বন্ধ করে বিপদের দিকে দেওয়া হচ্ছে। একবার যদি শিল্প বন্ধ হয়ে যায় তা চালু করা সম্ভব হবে না।’
সালেউদ জামান খান বলেন, ‘ব্যাংকের সুদের হার আজকে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ। যে জায়গায় আগে আমরা ২ থেকে ৩ শতাংশ দিতাম। তাহলে আপনারাই বলেন কীভাবে একটা শিল্প মালিক বাঁচবে। যদি এভাবে চলতে থাকে আমি মনে করি আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে দেশের ৫০ শতাংশ ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে। তা আর জীবনে খোলা হবে না।’
বিডি প্রতিদিন/মুসা