ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত শহীদ হাফেজ মোহাম্মদ হাসানের মরদেহ জানাজা শেষে নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় জেলা প্রশাসকসহ সর্বস্তরের লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
রবিবার সকালে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চেউয়াখালি বাজার সংলগ্ন তরিকউল্যাহ সমাজ এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
হাসানের জানাজায় অংশগ্রহণ করেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলা শাখার আমির ইসহাক খন্দকার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী শাখার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনগণ।
জানাজার আগে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন জাতিকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। শহীদ হাসানের আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল স্মরণে রাখবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
জানাজায় জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলার আমির ইসহাক খন্দকার বলেন, যারা শাহাদাত বরণ করেন, তারা আল্লাহর দরবারে সর্বোচ্চ পুরস্কারপ্রাপ্ত। শহীদ হাসান আমাদের গর্ব। তার রক্ত যেন আর কোনো ফ্যাসিস্ট শাসনের জন্ম না হতে দেয়।
গেল ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের টাইগারপাসে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গুরুতর আহত হন মোহাম্মদ হাসান। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিএমএইচ ঢাকা এবং সর্বশেষ থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ ও পায়াথাই পাহোলিওথিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন