রাজধানীর আফতাবনগরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চার বছর বয়সি মেয়ে তানজিলার পর না ফেরার দেশে পাড়ি দেন মা মানসুরাও (৩৫)। রবিবার বিকাল ৩টার দিকে তানজিলা ও রাত সাড়ে ১০টার দিকে মানসুরা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে শুক্রবার রাতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, আফতাবনগর দক্ষিণ আনন্দনগর এলাকা থেকে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন বার্ন ইউনিটে এসেছে। রাত ১০টার দিকে ফিমেল এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মানসুরা বেগমের মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৬৭ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে বিকাল ৩টার দিকে তানজিলা নামের চার বছরের শিশুর মৃত্যু হয়। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসাধীন অন্য তিনজনের মধ্যে মানসুরার স্বামী মো. তোফাজ্জলের ৮০ শতাংশ, মেয়ে মিথিলার ৬০ শতাংশ ও আরেক মেয়ে তানিশা ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী মো. শরীফ জানান, আফতাবনগর দক্ষিণ আনন্দনগর আনসার ক্যাম্প বাজার এলাকার একটি তিন তলা ভবনের নিচ তলায় গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়।