রমজানেও যানজটে নাকাল নগরবাসী। অফিস শেষে কেউ ঘরমুখো আবার কেউ ঈদবাজার মুখী। আবার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে সড়ক খুঁড়ে ফেলে রাখা হয়েছে। একসঙ্গে অনেক লোকজন বের হওয়ায় বিকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে তীব্র যানজট দেখা গেছে। ফ্লাইওভারগুলোতেও দেখা গেছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এতে যাত্রাপথে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা হওয়া মানুষ।
গতকাল বিকালে অফিস সময় শেষ হওয়ার পর থেকে সড়কে যানবাহনসহ মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। সবার চেষ্টা ইফতারিতে পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। সে কারণেই প্রথম রোজার মতো গতকালও ইফতারির আগে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়। রোজার শুরু থেকেই স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পরও কেন এত যানজট তা ভাবিয়ে তুলেছে নগরবাসীকে। কেউ কেউ বলছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে ঢাকার প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বেড়ে যাওয়ায় যানজট তীব্র হচ্ছে।
প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের হয়ে অনেককেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে হয়েছে রাস্তায়। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে ঢাকার অধিকাংশ সড়কে যানবাহন চলাচল আটকে যায়। ইফতারের আগে কর্মস্থল থেকে ঘরমুখী মানুষরাও পড়েন মহাবিপাকে। ইফতারের কয়েক ঘণ্টা আগে প্রধান প্রধান সড়কে যানজট এতই তীব্র হয়েছে যে, গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ি বন্ধ করে রাখেন চালকরা। অনেকেই পরিবহন সংকটে পড়েছেন। ফলে অতিষ্ঠ হয়ে কেউ কেউ পায়ে হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। আবার কেউ কেউ যানজটে আটকা পড়ে ইফতার করেছেন সড়কে, বাসে কিংবা ফুটপাথে। বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, মহাখালী, বনানী, এয়ারপোর্ট, বিজয় সরণি, রামপুরা, বাড্ডা, নতুনবাজার, পল্টন, গুলিস্তান এলাকায় যানবাহনের তীব্র চাপ দেখা গেছে। সিগন্যালগুলোতে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যানবাহনকে। এসব সড়কে চলাচলরত যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বেসরকারি চাকরিজীবী শাহ নেওয়াজ বলেন, বিভিন্ন রাস্তায় চলছে উন্নয়ন কাজ। এ কারণে অনেক রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে গেছে। এসব কারণে প্রতিদিন রাজধানীর সব রুটেই তীব্র যানজট দেখা যায়। এই যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। যানজটে বসে থাকতে অস্থির লাগে। নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে যেতে পারি না।
পল্টন থেকে উত্তরায় যাবেন রাজিব নামে এক যাত্রী। বনানীতে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, বাসে ওঠার পর থেকেই জট শুরু। থেমে থেমে বনানী পর্যন্ত আসছি। এখন বাকি রাস্তা যেতে কতক্ষণ লাগবে কে জানে। রোজা রেখে যানজটের মধ্যে বসে থাকা কষ্টকর। তাই হেঁটেই রওনা দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজিব জানান, আজকে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। পাশাপাশি ঈদের কেনাকাটার জন্য লোকজন একসঙ্গে বের হয়েছেন। মার্কেট কেন্দ্রিক যানজট রয়েছে। বিকাল ৪টার পর বসুন্ধরা শপিং সেন্টার ও গ্রিন রোডের দিকে গাড়ির চাপ কম থাকলেও সায়েন্সল্যাব ও নিউ মার্কেটের দিকে যানবাহনের চাপ রয়েছে। মার্কেট কেন্দ্রিক একটা গাড়ির চাপ রয়েছে। এখন সেটা দেখা যাচ্ছে।